পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে রওশন এরশাদকে সরাতে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের চিঠি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। স্পিকারকে দেওয়া পাল্টা চিঠিতে তিনি সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত যথাযথ হয়নি বলে দাবি করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে দেখা করেন জাতীয় পার্টির সকল পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। তিনি বেশকিছু সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ উপস্থিত ছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে রাঙ্গা তুমি কার? জিএম কাদেরের নাকি রওশন এরশাদের? এর আগে জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে সভা করে মশিউর রহমান রাঙ্গা রওশনকে বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে জিএম কাদেরকে ওই পদে বহাল করার জন্য স্পীকারের কাছে আবেদন করেছিলেন।
বৈঠক থেকে বের হয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের বলেন, সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে যে চিঠি আমি দিয়েছিলাম, সেটা আমি প্রত্যাহার করতে চাই। বিষয়টি স্পিকার মহোদয়কে জানিয়েছি। বিরোধীদলীয় নেতাকে সরাতে চিঠি দেওয়ার প্রক্রিয়াটা যে ঠিক হয়নি, সেটা আমি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম। যেহেতু প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি, সেহেতু আমি আমার সই করা চিঠিটা প্রত্যাহার করার জন্য বলেছি। স্পিকার বলেছেন আইনি দিক বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি দলের গঠনতন্ত্র স্পিকারকে দিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে রাঙ্গা বলেন, একটা দলের যখন মিটিং হয়, তখন সভাপতিত্ব যিনি করেন তিনি চিঠি দেবেন। উনি (জি এম কাদের) সেটা না করে আমাকে দিয়ে করেছেন। চিফ হুইপের এটা দেওয়ার কথা না। আমি যে মিটিং করেছি সেটা ৩১ আগস্টের। এমপিরা করেছেন পহেলা সেপ্টেম্বর। এই তারিখের মিটিংয়ে আমার কাছ থেকে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্পিকারকে বলেছি, এজেন্ডা ছাড়া মিটিং দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকে বাদ দিয়ে উপনেতা নেতা হয়ে, তবে এটা দুঃখজনক। বৈঠকের তো এজেন্ডা থাকতে হবে। স্পিকার বলেছেন, আমি চিঠি দিতেই পারি। উনি দেখবেন।
এখন রওশনের সঙ্গে আছেন কিনা জানতে চাইলে সংসদ সদস্য রাঙ্গা বলেন, আমি দলের সঙ্গে আছি। দল একটাই থাকবে। এখনো চাই উনারা বসে ঠিক করুন। দলে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট রওশন এরশাদের নামে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়ের প্যাডে রওশনের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহর নামে একটি চিঠিও ছিল। তিন পৃষ্ঠার ওই বিজ্ঞপ্তিতে দলের ভেতরকার রাজনীতির নানা বিষয় বর্ণনা করে আগামী ২৬ নভেম্বর দলের সম্মেলন আহ্বান করেন রওশন। নিজেকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের একটি কমিটিরও ঘোষণা দেন। অতপর জিএম কাদেরের পক্ষ থেকে জানানো হয় জাতীয় পার্টির কাউন্সিল ডাকার এখতিয়ার রওশনের নেই। তার পদক্ষেপ অবৈধ।
রওশনের ওই পদক্ষেপের পরদিনই তাকে সংসদে বিরোধী দলের নেতার পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন দলটির সংসদ সদস্যরা। দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গত পহেলা সেপ্টেম্বর তাদের সিদ্ধান্ত জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে। পরে দলের প্রধান হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাও চিঠি দেন স্পিকারকে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দলের সব পদ থেকে মসিউর রহমানকে অব্যাহতি দেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
রাঙ্গার দাবি, রওশন এরশাদকে সরিয়ে জি এম কাদেরকে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা করার বিষয়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না। আবার বহিস্কারের পর প্রথমে রাঙ্গা ঘোষণা দেন জিএম কাদের কিভাবে রাজনীতি করেন আমি দেখে নেব? তার এ হুমকির পর রংপুরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অতপর সংবাদ সম্মেলন করে রাঙ্গা বলেন, সেদিন আমার মাথা খারাপ ছিল, রাগের মাথায় বলে ফেলেছি। দল করলে দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যুদ্ধ চলে না। আমাকে দল ফেরত নিলে যাব। প্রশ্ন হচ্ছে মশিউর রহমান রাঙ্গা আসলে কার? এই ভেল্কিবাজি আর কতদিন চলবে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।