পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আটজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সাফায়েত হোসেন রাজু (গণিত চতুর্থ বর্ষ), হামিম রাফসান (এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষ), জাহেদুল অভি (ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় বর্ষ), ওয়াহিদুল রহমান সুজন (স্নাতক তৃতীয় বর্ষ), আলিফ জাবেদ (ইতিহাস প্রথম বর্ষ), জিয়াউদ্দিন আরমান (সমাজবিজ্ঞান মাস্টার্স), নাঈম আসিফ (ইতিহাস মাস্টার্স) ও মোহাম্মদ মনির (ইতিহাস চতুর্থ বর্ষ)।
হামলার জন্য এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ লোহার রড, হকিস্টিক ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ কয়েকটি কক্ষের দরজা, জানালা ভাঙচুর করা হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চকবাজার থানা পুলিশ সেখানে ছুটে যায়। পরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবজ অভিযোগ করেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের সভাপতি মো. মাহমুদুল করিমের নেতৃত্বে তার অনুসারীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। আমাদের বেশকিছু ছোট ভাই আহত হয়েছে। সন্ত্রীদের কীভাবে দমন করতে হয় সেটি আমার জানা আছে।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বহিরাগতরা। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। এতে রাজ নামের এক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
চকবাজার থানার ওসি মঞ্জুর কাদের মজুমদার জানান, ছাত্রলীগের দুই পক্ষ হঠাৎ মারামারিতে জড়িয়েছে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া করে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছে।
এদিকে জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ২০ জন। দু’গ্রপের মির্জা আজম হলে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গত সোমবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষে আহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এহসানুল হক ইরফান এবং সমাজকর্ম বিভাগের শাকিল আহমেদ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গতকাল দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিকেলে ছাত্রলীগের একপক্ষ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মির্জা আজম হলের ১০১ নম্বর কক্ষে সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এ সময় মির্জা আজম হলে ভাঙচুর চালানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীন বলেন, ১০১ নম্বর রুমে মাদকাসক্ত এক শিক্ষার্থী থাকে। সে অন্য শিক্ষার্থীকে গাঁজা সেবনের জন্য ডাকে। এটা নিয়েই রুমের বড় ভাইদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এহসানুল হক ইরফান বলেন, আমাদের কর্মী শাকিল আহমেদকে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা মারধর করায় সংঘর্ষ বাধে।
এদিকে, গতকাল দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে যুগ্ম-আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ স্বাধীনের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবদুল মাননান জানান, সংঘর্ষের ঘটনাটি মধ্যরাতে ঘটে। ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।