মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানে পুলিশ হেফাজতে একজন নারীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। একটি কুর্দি অধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, সোমবার কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচ জন নিহত হয়েছে। ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশের ২২ বছরের মাহসা আমিনি গত সপ্তাহে দেশটির নৈতিকতা বিষয়ক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর নিরাপত্তা হেফাজতে তার মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। টুইটারে দেওয়া পোস্টে মানবাধিকার সংস্থা হেঙ্গাও জানিয়েছে, আমিনির নিজ শহর সাকেজে কুর্দিশ শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে দুই জন নিহত হয়। সংস্থাটি বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দিভান্ডারেহ শহরে আরও দুই জন নিহত হয়েছে। কুর্দি অঞ্চল দেহগোলানেও একজন নিহত হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তাদের পক্ষে মানবাধিকার সংস্থা হেঙ্গাও-র দেওয়া এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সরকারিভাবেও এ বিষয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, সাতটি প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরে ‘সীমিত’ বিক্ষোভ হয়েছে। তবে পুলিশ সেগুলো ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। অপরদিকে, পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বললেন তেহরান পুলিশের প্রধান। এ ধরণের ঘটনা আর ঘটবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে হিজাব আইন না মানার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির ‘নৈতিকতা পুলিশ’, যা হিজাব পুলিশ নামেই বেশি পরিচিত। কিন্তু পুলিশ গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোমায় চলে যান মাহসা আমিনি। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মৃত্যু হয় তার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাকে গাড়িতে তুলেই প্রচÐ নির্যাতন করেছে পুলিশ। বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশের তরফ থেকে যদিও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশের ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল হোসেইন রাহিমি একে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘কাপুরুষোচিত অভিযোগ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। যদিও দেশের সাধারণ মানুষ বিষয়টি মানতে পারছে না। পুলিশের এমন আচরণের সঙ্গে তারা পরিচিত। ফলে মাহসার মৃত্যুর পরই রাজধানী তেহরানসহ পশ্চিম ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনেও দুইজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ প্রথম থেকেই আমিনিকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, আমিনির আগে থেকেই শারীরিক সমস্যা ছিল এবং হৃদরোগের সমস্যার কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে তার পিতা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ ছিল এবং হৃদরোগেরও কোনো সমস্যা ছিল না। পুলিশ তার মেয়ের পায়ে ভয়াবহভাবে পিটিয়েছে। শনিবার মাহসার জন্মশহর সাকেজে তার জানাজা ও দাফন হয়। আশপাশের এলাকার অনেক মানুষ মাহসার জানাজায় অংশ নেন। এসময় সেখান থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দিতে দেখা যায় উপস্থিতদের। রয়টার্স, ইরনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।