Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইউরোপের সবচেয়ে বেশি ও কম বাসযোগ্য শহর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম


পশ্চিম ইউরোপের অনেক মানুষের কাছে করোনা মহামারি এখন অতীতের কোনো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাস্ক পরা মানুষের সংখ্যা কমে গেছে এবং লকডাউনও একটি দূরবর্তী বিষয়, যেটি আসলেই একটি বেদনাদায়ক স্মৃতিও বটে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার এই বিষয়টি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-এর সহযোগী সংস্থা ইআইইউর একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে। সমীক্ষাটিতে স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বাসযোগ্যতা নিরূপণের চেষ্টা করা হয়েছে। ১৭২টি শহরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। যেখানে সংস্থাটি পশ্চিম ও পূর্ব ইউরোপের মধ্যে বিস্তর ফারাক খুঁজে পেয়েছে। এ বছরের সমীক্ষায় বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই পশ্চিম ইউরোপে রয়েছে। যার মধ্যে ভিয়েনা পাঁচ বছরে তৃতীয়বারের মতো শীর্ষস্থান দখল করেছে। অন্য আরও দুটি শহর কোপেনহেগেন ও জুরিখ, সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু মহাদেশের বাকি অংশের শহরগুলোর কি অবস্থা? পশ্চিম ইউরোপজুড়ে শহরগুলো পুনরায় চালু হওয়ার ফলে এ অঞ্চলের গড় স্কোর তাদের প্রাক-মহামারি অবস্থানে ফিরে গেছে। ফলে এই বিষয়টি এসব শহরকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বাসযোগ্য অঞ্চলের করে তোলে। সামগ্রিক তালিকায়, বছরের সবচেয়ে বড় দশটি উন্নত শহরের মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবগুলোই পশ্চিম ইউরোপে (ব্যতিক্রম, লস অ্যাঞ্জেলস, ১৮ অবস্থানে পৌঁছেছে)। জার্মানির তিনটি শহর রয়েছে তালিকায়। এগুলো হলো ড্যুসেলডর্ফ, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও হামবুর্গ। বসবাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কোভিড ব্যবস্থা সহজ করার পর সংস্কৃতি বিষয়ে স্কোর বেড়েছে। তবে মহাদেশের সর্বত্র একই ধরনের উন্নতি হয়নি। পূর্ব ইউরোপের শহরগুলো কোভিড-যুগের হ্রাস থেকে ধীর গতিতে বসবাসযোগ্য হিসেবে পুনরুদ্ধার করছে। পূর্বের গড় স্কোর এখন পশ্চিমের তুলনায় ২০ পয়েন্ট কম। ধীরগতির ভ্যাকসিন কার্যক্রমের কারণে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য-পরিচর্যা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অনেক শহরই দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত তুরস্কের একমাত্র শহর ইস্তাম্বুলের স্কোর ইউরোপের মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অধীনে ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী নেতৃত্ব, সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি জীবনযাত্রার মানকে মøান করেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বা টিআই বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত একটি অ-লাভজনক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক উন্নয়নে বিভিন্ন সংস্থা ও রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত দুর্নীতি পর্যবেক্ষণপূর্বক সাধারণের কাছে তুলে ধরাই এই সংস্থার মূল লক্ষ্য। টিআই-এর তথ্য মতে, আজারবাইজানের রাজধানী বাকু ইউরোপের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি। যা সমীক্ষার হিসাবে, ইউরোপের দ্বিতীয় নিম্ন বসবাসযোগ্য শহর। প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের শাসনামলে নিপীড়নের ঝুঁকিতে মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গ পেছনে পড়ে। দ্যা ইকোনমিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ