Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যে বাঁশিতে ঘুম ভাঙত, সে বাঁশিতেই চির নিদ্রায় রানী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৫৮ পিএম

রানীর রাজত্বের সাত দশক ধরে, ব্রিটিশ জনসাধারণ তার অনেক অদ্ভুত বিষয় জানতে পেরেছিল: তার রসবোধ, তার টুপি, তার পোশাক, সব কিছুই ছিল চর্চার বিষয়। তবে, সোমবার যখন জাতি তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য জড়ো হয়েছিল, তারা রানীর জীবনের একটি কম পরিচিত বিষয় প্রত্যক্ষ করেছিল, সেটি হচ্ছে তার পাইপার বা বংশীবাদক।

তার রাজত্বের বেশিরভাগ সময়, রানী তার জানালার নীচে বাজানো ব্যাগপাইপের শব্দে উজ্জীবিত হয়ে উঠতেন। রাজকীয় এই পাইপার কয়েক দশক ধরে রানীর ব্যক্তিগত অ্যালার্ম ঘড়ি হিসাবে কাজ করতের। তিনি প্রতিদিন সকালে ১৫ মিনিট ধরে ব্যাগপাইপ বাজিয়ে রানীর ঘুম ভাঙাতের। কিন্তু সোমবার, সেই পাইপারই ছিল একটি ভিন্ন ভূমিকায়। যে সঙ্গীতটি রানীর সকালের শুরুর সংকেত দিত, সেই সঙ্গীতই তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সমাপ্তির সংকেত দেয়। যখন তার কফিন উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলের নীচে রয়্যাল ভল্টে নামানো হয়েছিল, তখন তিনি একটি চূড়ান্ত সুর বাজাচ্ছিলেন, ‘এ স্যালুট টু দ্য রয়্যাল ফেন্ডারস্মিথ’’।

চ্যাপেল এবং ডিনের ক্লোইস্টারের মধ্যবর্তী দরজা থেকে পাইপার তার সুর বাজাতে শুরু করেন। এটি করার সময়, তিনি ধীরে ধীরে ডিনারির দিকে হাঁটতে শুরু করেন যাতে চ্যাপেলের মধ্যে সুর ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায়। এটি একটি প্রতীকী পূর্ণ মুহূর্ত ছিল, যা গত বছর প্রিন্স ফিলিপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুরূপ সমাপ্তি প্রতিফলিত করে। উইন্ডসরে বাজানোর আগে, পাইপার ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিলাপের সাথে ‘ঘুম, প্রিয়, ঘুম’ সুর বাজিয়ে এসেছিলেন।

রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পাইপারের এ ভূমিকা চলে আসছে রানী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকাল থেকে। স্কটিশ হাইল্যান্ডস ভ্রমণের সময়, তিনি এবং তার স্বামী, প্রিন্স অ্যালবার্ট, ব্যাগপাইপের সুরের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। ১৮৪৩ সাল থেকে রাজকীয়ভাবে পাইপার নিয়োগ শুরু হয়। তখন থেকে দ্বিতীয় এলিজাবেথের আমল অবধি মোট ১৭জন বাদক প্রধান পাইপারের ভূমিকা পালন করেছেন। সূত্র: সিএনএন।



 

Show all comments
  • Jaker ali ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:২৪ এএম says : 0
    রানী খুব ভালো ছিলো গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে সাহায্য নিয়ে সবসময় সহযোগিতা করেছেন এবং সবসময় সিলেটের মানুষ কে খুব আদর করতো
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ