নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ওপেন ব্যাডমিন্টন ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জের উদ্বোধনী দিন জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়ন শাপলা আক্তার ও সাবেক চ্যাম্পিয়ন এলিনা সুলতানা হারলেও জয় পেয়েছেন সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এনায়েত উল্লা খান।
গতকাল শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতে এনায়েত নাবিলা আক্তারের সঙ্গে জুটি বেঁধে মালদ্বীপের জায়ান ও মাইশা জুটির বিপক্ষে জয় তুলে নেয়। আর এলিনা-খালেদ জুটি হেরে যায় থাইল্যান্ডের ইউকার্ড-প্রোমেজ জুটির কাছে। অন্যদিকে মহিলা এককে শাপলা হেরে যান শাপলা ভারতীয় শাটলার রেশমার কাছে।
এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার এমপি। এ সময় ফেডারেশনের সভাপতি আবদুল মালেক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, ইউনেক্সের বাংলাদেশের প্রতিনিধি কাজী ইউশা মিশু, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এমপি এবং ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আমির হোসেন বাহার উপস্থিত ছিলেন।
ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ মোট ১৩ দেশের শাটলাররা খেলছেন। ১০৪ জন শাটলারের মধ্যে বাংলাদেশের ২৩ জন রয়েছেন। প্রথমদিন স্বাগতিকদের তরুণ শাটলাররা পরাজিত হয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিলেও মান রেখেছেন বুড়ো শাটলাররা (এনায়েত, নাবিলা, পরশ, লালচাঁদ, বৃষ্টি ও দুলালি)। অর্থাৎ যারা তিন থেকে চার বছর আগে জাতীয় চ্যাম্পিয়নের মেডেল গলায় ঝুলিয়েছেন-তারাই উঠেছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে।
দিনের শুরুতেই মিশ্র দ্বৈতে কোর্টে নামেন এলিনা ও এনায়েত। তবে এক সঙ্গে নয়। ভিন্ন কোর্টে। এলিনা-খালেদ জুটি খেলে থাইল্যান্ডের ইউকার্ড-প্রোমেজ জুটির বিপক্ষে। কিন্তু দুর্ভাগ্য স্বাগতিক শাটলারদের। থাইল্যান্ডের কাছে সরাসরি ২১-১৭ ও ২১-১৪ গেমে হেরে যান এলিনা ও খালেদ জুটি। ঠিক একই সময়ে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি জেতে এনায়েত ও নাবিলা জুটি। মালদ্বীপের জায়ান ও মাইশা জুটির কাছে প্রথম গেমে ২১-১৯ পয়েন্টে হারলেও পরের দু’টি গেম তারা ২১-১০ ও ২১-১৩ পয়েন্টে জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠেন এনায়েত ও নাবিলা জুটি।
মিশ্র দ্বৈতের একটি সাফল্য আসলেও মহিলা এককে দেখা গেছে বাংলাদেশের শাটলারদের করুণ দশা। শাপলা ও এলিনা দু’জনেই সরাসরি সেটে হারেন প্রতিদ্ব›দ্বীদের কাছে। কোনো গেমেসই প্রতিদ্ব›িদ্বতা গড়ে তুলেতে পারেননি তারা। শাপলা ১৩-২১ ও ১৬-২১ গেমে (২-০ সেট) হেরে যান ভারতীয় রেশমার কাছে। অন্যদিকে এলিনা ১৩-২১ ও ১৫-২১ গেমে (২-০ সেট) হারেন ভিয়েতনামের এন গুয়েনের কাছে। যদিও কিছুটা প্রতিদ্ব›িদ্বতা গড়ে তুলেছিলেন বৃষ্টি খাতুন। নেপালের জেসিকার বিপক্ষে প্রথম গেমে ১৬-২১ পয়েন্টে হারলেও দ্বিতীয় গেম ২১-১৯ পয়েন্টে জেতেন তিনি। তবে শেষ গেমটি ২১-১৬ পয়েন্টে হারলে সেটে হেরে যান বৃষ্টি। দিনের প্রথম জয়ী জুটির এনায়েত বেশ খুশি, ‘দেশকে প্রথম জয়টা দিতে পেরে আমি খুশি। এখন তাকিয়ে আছি দ্বিতীয় রাউন্ডের দিকে। দেখি সেখানে কি করতে পারি।’ তিনি যোগ করেন, ‘আসলে প্রতিপক্ষকে বুঝতেই চলে গেল প্রথম গেমটা। তাই দ্বিতীয় গেম থেকেই আমরা জ্বলে ওঠেছিলাম। তাই ৩-১ সেটে জিতেছি।’
এ ছাড়া দিনের অন্য খেলায় পুরুষ এককে স্বাগতিক দলের আবদুল হামিদ ওয়াকওয়ভার পান এবং জেতেন আহসান আহমেদ পরশ ও লাল চাঁন। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে যান পরশ। মহিলা এককে মান রেখেছেন শাপলা, এলিনাদের থেকে পিছিয়ে থাকা বৃষ্টি খাতুন। তিনি ২-১ সেটে হারিয়েছেন নেপালের জেসিকা গুরুংকে। জিতেছেন দুলালী হালদারও। তিনি ২-০ সেটে হারান নাফহা নাসরুল্লাকে। তবে জাতীয় রানার্স আপ এলিনা হেরেছেন ভিয়েতনামের থিসেন এনগুয়েনের কাছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।