মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চায়। তবে, কাজ না হলে জাতিসংঘের কাছে জানানো হবে। আমরা সবকিছু করব। গতকাল শনিবার ধানমন্ডি ঢাকা আহছানিয়া মিশনে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বার বার সতর্ক করা হলেও তারা (মিয়ানমার) কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কঠোর রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার কোনো সময়ই কথা দিয়ে কথা রাখে না। আমরা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সব চেষ্টাই করে যাচ্ছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই যে ১২ লাখ রোহিঙ্গা এখানে শেল্টার নিয়েছে তাদের যেন শান্তিপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসন হয়। সম্প্রতি আমরা দেখছি মিয়ানমার শুধু রোহিঙ্গা নয়, তাদের অনেক নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ চালাচ্ছে থাইল্যান্ড, চীন, মিজোরাম এবং আমাদের সীমানা ধরে। আমরা লক্ষ্য করছি আরাকান আর্মি নামে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সেখানে যুদ্ধ করছে। তাদের সঙ্গে কখনো দেখি ভালো ভাব, কখনো দেখি যুদ্ধ। ভেতরে কী রহস্য সেটা তারাই ভালো জানে। তাদের যুদ্ধ তাদের সীমানায় থাকা উচিত। আমাদের সীমানায় এসে যে গোলাবারুদ পড়ছে এটার কড়া ভাষায় আমরা প্রতিবাদ করছি। ওদের আর্মির সঙ্গে কথা হচ্ছে, ফরেন মিনিস্ট্রি তাদের ডেকে এনে সুস্পষ্টভাবে আমাদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কখনোই যুদ্ধ চান না, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমানার পাশে জিরো লাইনে একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে। সেই ক্যাম্পে গোলাবারুদের আঘাতে একজন মারা গেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা তীব্রভাবে এর নিন্দা করছি। তাদের এই গোলাবারুদ বন্ধের জন্য আমরা সবসময় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফরেন মিনিস্ট্রি এ ব্যাপারে কাজ করছে। আমরা মনে করি তারা ভুল বুঝতে পারবে এবং ভবিষ্যতে সংযত থাকবে।
তারা যাতে আর না আসে সেই ব্যবস্থা আমাদের বিজিবি করছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন এসেছে, তাকে আমরা পুশব্যাক করেছি।