Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ আমরা ফাইনালে’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:১০ পিএম

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান ও ফিফার কাউন্সিল মেম্বার মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ আমরা ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি’। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে শনিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। কিরণ বলেন,‘এই সাফল্যে কারো একক কৃতিত্ব নেই। বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের দক্ষ নেতৃত্ব আর একটি টিম ওয়ার্কের কারণেই বাংলাদেশ আবার সাফের ফাইনালে খেলছে।’

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। টুর্নামেন্ট খেলতে কাঠমান্ডু যাওয়ার আগে বাংলাদেশের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এবং অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেছিলেন, তারা প্রথমে ফাইনাল নিশ্চিত করতে চান। আর সেটা করতে পারলে প্রথম শিরোপা জয়ের চেষ্টা থাকবে তাদের। লাল-সবুজের কোচ ও অধিনায়কের প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ২০১৬ সালে পর ফের সাফ শিরোপার মঞ্চে বাংলাদেশ। কেবল ফাইনালে ওঠাই নয়, এখন পর্যন্ত চলতি সাফে সবচেয়ে ভালো খেলা উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রæপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলে জয় পেয়েছেন সাবিনারা। আগে কখনো যা পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা, এবার তা করে দেখিয়েছে তারা। টুর্নামেন্টের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে গ্রæপ পর্বে গুড়িয়ে তাদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয় তুলে নিয়েছে। অথচ মাত্র বছর খানেক আগেও বাংলাদেশের জাতীয় দল নয়, বয়সভিত্তিক নারী দলগুলোই ভালো করতো বিভিন্ন টুর্নামেন্টে।

বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান কিরণ সব সময়ই বলেছেন বয়সভিত্তিক দলের মেয়েরা অভিজ্ঞ হলেই শক্তিশালী জাতীয় দল তৈরি হবে। কারণ সাবিনা খাতুন ছাড়া আর কোন সিনিয়র খেলোয়াড় নেই জাতীয় দলে। বয়সভিত্তিক দলের সেই মেয়েরা এখন অভিজ্ঞ, ফলে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী জাতীয় দল। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের আজকের এই সাফল্যের মূল কারিগর কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। আর পেছনে থেকে নেতৃত্বে আছেন কিরণ। তিনি মেয়েদেরকে সারা বছর বাফুফে ভবনের ক্যাম্পে রেখে টানা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। যার ফলশ্রæতিতে ৬ বছর পর দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ। এই সাফল্যের কৃতিত্ব একা নিতে চাননা কিরণ। ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন,‘কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দে। যে কারণে বাংলাদেশ নারী দল আজকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। এটা কারো একার কৃতিত্ব নয়, এখানে কাজ করছে টিমওয়ার্ক। আমরা সবাই মিলে মিশে কাজ করি। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি, প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটুসহ আরো যারা কোচিং স্টাফে আছে তারা সবাই যেমন পরিশ্রম করেন তেমন একইভাবে আমাদের খেলোয়াড়রা ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫-৬ টা স্টেপে ট্রেনিং করে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও শৃঙ্খলার কারণেই আজকে আমরা এই রেজাল্টটা পেয়েছি। দীর্ঘদিন কাজ করেছি শক্তিশালী একটি জাতীয় দল গড়ার জন্য। সাফের ফাইনালে উঠে মেয়েরা প্রমাণ করেছে যে, অবশেষে আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি শক্তিশালী জাতীয় দল গড়তে পেরেছি।’

নারী সাফের ফাইনালে সোমবার স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজরা। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল সোয়া ৫টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এ ম্যাচে যাতে মেয়েরা সাফল্য পায় তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন মাহফুজা আক্তার কিরণ।

এদিকে আগের দিন টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করলেও শনিবার বিশ্রামে না থেকে অনুশীলনে ঠিকই ঘাম ঝরিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। কারণ সামনেই তাদের নেপাল পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে হতেই হবে কৃষ্ণা রানী সরকার-মারিয়া মান্ডাদের! এদিন সকালে কাঠমান্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার মাঠে অনুশীলনের পর টিম হোটেল সাঁতার সেশনে অংশ নেয় সাবিনা বাহিনী। আর বিকালে ফোম রোলার এক্সারসাইজ এবং ইয়োগা করে সময় কাটায় তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ