গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজনৈতিক দল হল, স্বাধীন দেশের নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষায় জাতীয় চিন্তার উদ্রেকে একতাবদ্ধ রুপ , যারা সংবিধান মোতাবেক শাসনরীতিকে মেনে চলে গোষ্ঠিবদ্ধ হয়ে সরকার গঠনে প্রস্তাবিত নীতি ও কর্মসূচির ভিত্তিতে সমর্থন প্রত্যাশা করে। এমন বলেছিলেন, দার্শনিক ঈশ্বরমিত্র।
ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ আদম তমিজী হক এক নিবন্ধে এসব কথা লিখেন। তার নিবন্ধটি তুলে ধরা হল:
এদিকে রাজনীতি করার প্রথম শর্ত হল, মূল ভাবাদর্শকে স্থান দিয়ে জনমনে উত্তীর্ণ হওয়ার বাস্তবতা। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসাবে একমাত্র আওয়ামী লীগই রাজনীতির শর্তগুলো পূরণ করতে পেরেছে। অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাপ এর দুইটি দল তথা মওলানা ভাসানী ও মোজাফফর আহমেদ অংশের দুই ন্যাপ পারেনি সেভাবে টিকে থাকতে। এখন তাদেরকে ক্ষমতার অংশিদারিত্বে যেয়ে কিংবা ছোট্ট পরিসরে থাকতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাথে ফলত লড়াই তো তাদেরই হওয়ার কথা ছিল। স্বাধীনতার পরে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে জাসদও যুগের পরিক্রমায় লড়াই করতে পারেনি। ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়েছে। ফলশ্রুতিতে বুর্জুয়া দল হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ। যা খানিকটা সাংস্কৃতিকবিরুদ্ধ অভিরুচীর পর্যায়ে পড়ে যায়। সামরিক ছাউনি থেকে আসা জাতীয় পার্টিও এখন আওয়ামী লীগের কৃপা চেয়ে বলে, ভালবাসি গণতন্ত্রকে !
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতাসীন দল হয়ে জনাস্থা নিয়েই দেশ পরিচালনা করছে। অনেকেই বলবেন? জন আস্থা ? অবশ্যই। একজন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আস্থা আছে বলেই কোন এক ভোর-সকাল করে লক্ষ লক্ষ মানুষ তো আওয়ামী লীগ সরকারের পতন চায়নি গেল ১৪ বছরে ?
আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন প্রত্যাশী হয়ে দলের নাম আওয়ামী লীগ করা হয়।
আসছে ডিসেম্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। অক্টোবর এর শেষ দিক দিয়ে দলের সহযোগি সংগঠনগুলোরও কাউন্সিল হবে বলে শোনা যাচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগেরও সম্মেলন হবে। দলে মেধাবীদের জায়গা হোক। ত্যাগী নেতানেত্রীদের মাধ্যমে সংগঠনের বিস্তার হতে থাকুক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে একজন শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করার মধ্যে দিয়েই দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তার পথচলাকে মসৃণ করুক।
দলের একজন সাধারণ কর্মী হয়ে রাজনীতি করতে পারলেই সার্থক বলে মনে করার সুযোগ আছে। পদ- পদবী নিয়ে কখনই উদ্বিগ্ন ছিলাম না। পিতা ব্যারিষ্টার তমিজুল হক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর পছন্দের সত্তা। তাঁদের মধ্যকার যে সম্পর্ক ছিল, তা ধারণ করেই আমি বেড়ে উঠেছি। বাবার কাছে শুনেছি এক হিমালয় পাহাড়সম নেতার কথা। এখন দেখছি তাঁরই আত্মজা শেখ হাসিনার বিশ্বমানের নেতৃত্ব। শেখ হাসিনার কাছ থেকে শুধু শিক্ষাটাই নেয়া যায়। তিনি পারেন এবং রাজনীতি করতে জানেন। আওয়ামী লীগের সাথে তাই সম্পর্ক নতুন করে নয়। বাড়ির অন্দরমহলে আওয়ামী লীগ ছিল। এখন আমার রাজনৈতিক সক্রিয়তায় আওয়ামী লীগ হৃদয়ের কেন্দ্রে জায়গা নিয়েছে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থেকে যাবো। কিছু প্রত্যাশা করে এই দলের মধ্যে থাকতে চাই না।
আওয়ামী লীগের জন্য, দেশের জন্য সেরাটা তুলে রেখেছি। রাজনৈতিক অপশক্তি মোকাবিলায় দল যদি সাংগঠনিকভাবেও আমাকে দায়িত্ব দেয়, লুফে নেব। দায়িত্ব না দিলেও কলম দিয়ে, পৃষ্ঠপোষকতা করে আওয়ামী লীগের জন্য জীবন দিতে রাজী আছি। হ্যাঁ, আমি রাজধানী ঢাকা কে বদলে দিতে চাই। কারণ, যখন প্রবাসে যাই, অন্য দেশগুলোর শহরের দিকে তাকিয়ে থাকি। মন খারাপ করে বসি। ওদের কত পরিকল্পনা ! কী সুন্দর করে ওরা নগরকে সাজায় ! আর আমরা ? সেভাবে তো পারছি না। কাজেই নগরসেবক হয়ে ঢাকাবাসীর জন্য সেরাটা সত্যিই তুলে রেখেছি। কি কি করতে চাই, সব কিছু গবেষণা করে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে রেখেছি। আমি দেখবো যারা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা কি করেন ! আওয়ামী লীগ আমাকে দায়িত্ব না দিতে চাইলে অতি অবশ্যই যারা নগরসেবক হবেন, তাঁদের হাতে আমার পরিকল্পনাগুলো একদিন তুলে দেব।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। ব্যক্তিগত সম্মান নেয়ার জন্য, দায়িত্ব নেয়ার জন্য রাজনীতি নয়। রাজনীতি হল, জনস্বার্থ উদ্ধারে সৈনিক হয়ে গোষ্ঠিগত ইতিবাচক চিন্তার প্ল্যাটফর্মে নাম লেখানো। সেই নাম লিখিয়েছি। বাকীটা মহান সৃষ্টিকর্তা দেখবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।