গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : কলড্রপে ক্ষতিপূরণ না দিলে আগামী জানুয়ারি থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রতি কঠোর হতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে (বিটিআরসি) নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক ও টলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বারবার নির্দেশনা দেয়ার পরও এখন পর্যন্ত একটি অপারেটর ছাড়া অন্য অপারেটরগুলো কলড্রপে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আশিকিন বিনতে মোহাম্মদ তাইবের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান। তারানা হালিম বলেন, “কলড্রপের ক্ষেত্রে আইটিইউর (আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা) একটি নির্ধারিত মান আছে। শতকরা তিনটি পর্যন্ত কলড্রপ হলে সেটাকে মানসম্মতই ধরে নেয়া হয়। আমরা বিটিআরসিকে বলেছিলাম, এর বাইরে কতটুকু কল ড্রপ হল, এটা পরিমাপ করার ব্যবস্থা আমাদের কাছে থাকা প্রয়োজন। কারণ আমরা ইনফরমেশনটা চাচ্ছি অপারেটরদের কাছ থেকে। যেহেতু আমরা অপারেটরদের কাছে ইনফরমেশনটা চাচ্ছি এটা শতভাগ তাদের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা অপারেটরদের বলেছিলাম, ডিসেম্বর পর্যন্ত ঐচ্ছিকভাবে তাদেরকে কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমরা যে হালনাগাদ তথ্য বিটিআরসির কাছ থেকে পেয়েছি, তাতে একটি অপারেটর বাদে কোনো অপারেটর কল ফেরত দেয়নি। কলড্রপের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে তিন দিন আগে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তারানা বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে স্বপ্রণোদিত হয়ে আইটিইউর নীতিমালার বাইরে যে কল ড্রপ হয় তার ক্ষতিপূণর দেয়ার কথা। যদি না দিয়ে (কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ) থাকে, তবে জানুয়ারি থেকে বিটিআরসি যেন এটি কঠোরভাবে কার্যকর করে সেই নির্দেশনা আমরা ইতোমধ্যে দিয়ে ফেলেছি।”
“কল ফেরত প্রদান না করলে তাহলে বিটিআরসি নিজ থেকে কিভাবে এটা কার্যকর করতে পারে, বিষয়ে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি,” বলেন তিনি। কলড্রপসহ মোবাইল ফোন গ্রাহকদের নানা ভোগান্তির প্রেক্ষাপটে গতবছর অগাস্টে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গে বসে দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। গত জানুয়ারি মাসে মোবাইল ফোনে প্রতি কলড্রপে এক মিনিট করে ক্ষতিপূরণ দিতে অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা পাঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। তবে এই ক্ষতিপূরণ কোন প্রক্রিয়া দেয়া হবে বা কিভাবে দেয়া হবে, তা নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অপারেটরদের মধ্যে বারবার বৈঠক হলেও তা কার্যকর হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।