নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে শুক্রবার ভুটানকে হারাতে প্রস্তুত বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচটি। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যা পৌঁনে ৬টায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত।
শেষ চারে বাংলাদেশের লক্ষ্য জয় হলেও ছেড়ে কথা বলবে না ভুটান। ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবার এমনটাই জানান ভুটান অধিনায়ক পেনা চোডেন ও বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। পেনা চোডেনের কথায়,‘আশাকরি এবারের ম্যাচটি একপেশে হবে না।’ আর সাবিনা বলেন,‘আমিও চাই না একপেশে ম্যাচ হোক, আমরাও চাই প্রতিদ্ব›দ্বীতাপূর্ণ খেলা।’
কাঠমান্ডুর আর্মড পুলিশ মাঠে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ঘন্টার অনুশীলনে ঘাম ঝরান কৃষ্ণা রানী সরকার-মারিয়া মান্ডারা। ডান পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে অনুশীলনে নামেন বাংলাদেশের তারকা ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। কাপ মাসলে ব্যাথা পাওয়ায় কিছুক্ষণ পর ব্যাথানাশক স্প্রে নিলেন শিউলি আজিম ও সানজিদা খাতুন। ব্যাথায় কিছুটা কাতর ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্নাও। তবে এসব বাধা হতে পারবে না ভুটানকে হারাতে। বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন এমনটাই জানালেন, ‘স্বপ্নার কাফ মাশলে একটু ব্যথা আছে। আজকে (গতকাল) ওয়ার্মআপের পরে ওকে বিশ্রাম দিয়েছি, যাতে করে কাল (শুক্রবার) সে খেলতে পারে। বাকি সবাই ভালো আছে।’
বাংলাদেশের জন্য ভুটান বরাবরই দূর্বল প্রতিপক্ষ। সাফের সর্বশেষ পাঁচ আসরের ফলাফলে চোখ রাখলেই তা স্পষ্ট। তিনবারের দেখায় সাবিনাদের জালে একটি গোলও পাঠাতে পারেনি ভুটান। ২০১০ সাফে ৯-০, ২০১২ সালে ১-০ এবং ২০১৯ সালে ২-০ গোলে ভুটানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে সে সব এখন অতীত। কারণ সাফের পাঁচ আসরে যারা গ্রæপ পর্বই টপকাতে পারেনি, তারাই এবার গ্রæপ পর্ব পেরিয়ে সেমিফাইনালে। শ্রীলঙ্কাকে ৬-০ গোলে ধ্বসিয়ে দিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ভুটান। তাই এবার ফাইনালে চোখ তাদের। দ্বিতীয়বারের মতো সাফে খেলতে আসা ভুটান অধিনায়ক চোডেন বলেন, ‘আমরা জিততে পারলে অনুপ্রাণীত হবো। আশা করি কাল (শুক্রবার) একটি প্রতিদ্ব›িদ্বতাপুর্ন ম্যাচ হবে।’ লাল-সবুজের দল নিয়ে তার কথা, ‘বাংলাদেশ বেশ শক্তিশালী একটি দল। তারা বেশ দ্রæতগতিতে খেলে। পাসিংয়েও দক্ষ। তাদের দলগত ক্যামিস্ট্রি বেশ ভালো। আমাদের সঙ্গে বেশ প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে। তবে আশা করছি এটি একপেশে ম্যাচ হবে না। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের দারুণ কৌশল রয়েছে। তবে আমরা নিজেদের দলের প্রতি মনোযোগি। কিছুটা ইনজুরিতো দলের মধ্যে আছেই। কয়েক জন খেলোয়াড় হয়তো শতভাগ ফিট নয়।’ নিজেদের নিয়ে চোডেন বলেন, ‘বিগত তিনমাস ধরে আমরা অনুশীলনে আছি। নেপালে আসার পরও আমাদের অনুশীলন অব্যাহত ছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে আমরা ইতিহাস গড়েছি। সাফে এটি আমাদের প্রথম জয়। আমরা এতে দারুন খুশি। এর মাধ্য্যমে আমাদের এনার্জি আরো বেড়েছে।’
এই ভুটানকে খাটো করে দেখছেন না বাংলাদেশের কোচ ছোটনও, ‘ভুটানকে খাটো করে দেখছি না। তবে সাবিনারা পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত তাদের হারানোর জন্য।’ ভুটানকে সমীহ করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো ব্যবধানে জিতেছে ভুটান। সর্বশেষ সাফেও কিন্তু ওদেরকে গোল দিতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে আমাদের । আমার মনে হয়, ভুটান আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো দল। তবে আমরা প্রস্তুত। চেষ্টা করবো নিজেদের সেরাটা দিয়ে ম্যাচ জিততে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।