Inqilab Logo

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দেশের আইনের মধ্যেও অন্যায় আছে- পরিকল্পনামন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:৩৭ পিএম

দেশে আইনের মধ্যেও অন্যায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘ মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ন্যাশনাল ওয়ার্কশপে ’ অংশ নিয়ে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র ও তারতম্য গভীর ও কঠিন একটা বিষয়। কঠিন হয়েছে নানা কারণে। পন্ডিতরা এটা নিয়ে জানে লেখেও কিন্তু কিছু করতে পারে না। কারণ দারিদ্র নিরসনের যন্ত্র পন্ডিতদের হাতে নেই। অসাম্য-অবিচার সর্বোত্তই ভয়ংকর অবস্থা। দারিদ্র নিরসনের যন্ত্র যাতের হাতে তারা এটাকে কাজে লাগায় না তারা ভোগ করে। এসব লেখার কারণে পন্ডিতদের বাহবা-পুরষ্কার দেয়া হয়। কিন্তু অসাম্য-অবিচার সর্বোত্ত ভয়ংকর একটা অবস্থা। আমি মনে করি একজন নাগরিক হিসেবে বিধিবধ্য অন্যায় আছে এই দেশে। আইনের মধ্যেও দেশে অন্যায় আছে ।

তিনি বলেন, আমার বক্তৃতা শুনা ছাড়া কিছু করার নেই। গ্রামে যায়, সেখানে ভিটা মাটি আছে। অসংখ্যা মানুষ আমার সঙ্গে দেখা করি। আমি কিছু বিষয় নিয়ে খুব হতাশবোধ করি।

এম এ মান্নান বলেন, ইংরেজি ও এনজিও’র ভাষা বিউটিফুল এক্সপেনশনও আছে। আসলে কাজ কোথায়? আমরা আমাদের সরকার জনগণের জন্য কাজ করছে। গ্রামের মানুষের ভাগ্য বদলাতে কাজ করছি। ১০ বছরে যখন শিশু ছিলাম তখন সাঁতরিয়ে স্কুলে যেতাম। কিন্তু এখন অনেক পরিবর্তন দেখি। আমাদের সরকার অনেক কাজ করেছে। আমাদের গ্রামে আশ্বিন ও কার্তিক মাসে কলেরা ও দারিদ্র আসতো, কারণ পুকুর ও নদীর পানি খেতাম। বিশাল গ্রামে একটা বা দুটো নলকূপ ছিল। আমি পুকুরের পানি খেয়েছি আমার মায়ের পেটের বোনও কলেরায় মারা গেছে। কিন্তু এখন সুপেয় পানি খাচ্ছি। সেই কলেরার প্রকোপ নেই। সরকার গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করছে। এক সময় পোলিও ভয়ংকর অবস্থায় ছিলো। এখন অনেক উন্নত হয়েছে আমাদের আয়ু বেড়েছে।’

সমাজে এখনও অন্যায় আছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, তবে মূল জায়গায় আমরা এখনো হাত দিতে পারিনি বা পৌঁছায়নি। বিধিবন্ধ অবিচার রয়েছে এখানে হাত দিতে পারিনি। যেমন গ্রামের জলশয়ের মূল মালিক স্থানীয় জনগণ। কিন্তু এটা এখন ইজারা দেয়া হয়, প্রশাসন একাজে সহায়তা করে। যে লোকটা পলুই দিয়ে মাছ মেরে খেতে সে এখন খেতে পারে না। তার কিনে খাওয়ারও ক্ষমতাও নেই। গ্রামে আমরা সবাই ছোট মাছ ধরতাম। কেউ জাল দিয়ে মাছ ধরতাম। আমিও মাছ ধরতাম। কিন্ত মজার বিষয় হলো এখন গ্রামে কেউ মাছ ধরে না। আইন করে এটা বন্ধ করা হয়েছে। এটা কতটুকু যৌক্তিক?

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, ব্র্যাক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ সংশ্লিষ্টরা কর্মশালা অংশনেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ