পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করলেও দলটির আন্দোলনের নেতা কে, এ নিয়ে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনেরও নেতা নেই, নির্বাচনেরও নেতা নেই।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে কি বাংলাদেশে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় ঢেউ আসবে? তাদের আন্দোলন গাছে কাঠাল গোঁফে তেল।
বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে, কিন্তু ওই সরকারের নেতা কে তা কেউ জানে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন, ঢাল নাই, তলোয়ার নাই, নিধিরাম সর্দার।
আগামী জাতীয় নির্বাচন পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত বাংলাদেশেও যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। তত্তাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সব বিষোদগার আর অপপ্রচারের জবাব দেওয়া হবে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের মাধ্যমে। আজকে বিএনপি শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়, তাই তারা এখন নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপি যদি আবারও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ততক্ষণ আক্রমণ করবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত আক্রান্ত হবে। আক্রান্ত হলে এর জবাব দিতে প্রস্তুত আছি।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের মধ্যে অন্তর্কলহ থাকলে দূর করতে হবে। দলের দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বসন্তের কোকিলদের নেতা বানানো যাবে না। দলের দ্বন্দ্ব চিরতরে পরিহার করতে হবে। দল ঐক্যবদ্ধ না থাকলে নির্বাচনে সফলতা আসবে না। তাই অবশ্যই দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব দূর করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে এসেছে, রাজপথে আছে। যতই দুঃসময় আসুক রাজপথে থাকবে। কাজেই আওয়ামী লীগকে রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান এবং ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।