Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সবজি-ডাব বিক্রেতা সেজে বাসা টার্গেট করে চুরি করতো তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:৩৬ পিএম

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানে করে ডাব, সবজি বা ফল বিক্রেতা সেজে ফাঁকা বাসা টার্গেট করত একটি চোর চক্র। এরপর সময় সুযোগ বুঝে গ্রিল কেটে চুরি করে।

কলাবাগানের লেক সার্কাসের একটি বাসা থেকে ৭২ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত এই চোর চক্রের চারজনকে অস্ত্রগুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানা পুলিশ।


গ্রেপ্তাররা হলো- মো. সোহেল, মো. ফরহাদ, মো. ইলিয়াচ শেখ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আনোয়ার।

এসময় তাদের কাছ থেকে ৩ টি বিদেশী পিস্তল, ১১১ রাউন্ড গুলি, ৩ টি ম্যাগাজিন, ৩ ভরি স্বর্ণ ও ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।


সোমবার রাজধানীর কলাবাগান ও আদাবর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা করা হয়।


মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ।


সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত আগস্ট মাসের ২০ তারিখে কলাবাগান লেক সার্কাস ডলফিন গলিতে রাত ১টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় গ্রীল কেটে চোরেরা ৭২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলাবাগান থানায় মামলা করেন।


ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, মামলাটির পরে নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান এর নেতৃত্বে কলাবাগান থানার একটি টিম চোরাই মালামাল উদ্ধার ও চোর চক্রকে গ্রেপ্তারের জন্য কাজ শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় কলাবাগান থানা ও রাজধানীর আশপাশের ৫০০ এর বেশি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চোরদের শনাক্ত করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে কলাবাগান থানার ডলফিন গলির থেকে সোহেল, ফরহাদ ও ইলিয়াচকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. আনোয়ারুল ইসলামকে আদাবর থানার নবোদয় হাউজিং বাজার হতে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারদের অপরাধের কৌশল সর্ম্পকে উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, এদের কেউ ভ্যানে করে ডাব, সবজি বা ফল বিক্রেতা সেজে ফাঁকা বাসা টার্গেট করে। পরবর্তী সময় সুযোগ বুঝে গ্রিল কেটে চুরি করে। আর চুরি করার সময় কোন ধরনের বাধা আসলে ভিকটিমদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয় তারা।

 

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সকল সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে।


গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির কলাবাগান থানায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। তাদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ