গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে অবশ্যই সবার জন্য নিরাপদ, সুলভ, সাশ্রয়ী ও টেকসই পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু দেশের সড়ক ও পরিবহনের যে অবস্থা তা দিয়ে কোনোভাবেই এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে দাবি করেছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন।
আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান সংগঠনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল ও যুগ্ম আহ্বায়ক অন্তু মুজাহিদ।
একইসঙ্গে দেশব্যাপী যাত্রীদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই দিবসটি জাতীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তারা।
বিবৃতিতে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের নেতারা বলেন, এসডিজির ১১ নম্বর সূচক অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত যানবাহন সম্প্রসারণের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করে নিরাপদ, সাশ্রয়ী, সুলভ ও টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিভিন্ন ডাটা অ্যানালাইসিস করলে দেখা যায় প্রতিদিন গড়ে আমাদের সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে অন্তত ২০ জন মানুষ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, সাশ্রয়ী পরিবহনের দাবি এখন মানুষ ভুলেই গেছে। কারণ দুর্বল শ্রেণির মানুষ তো দূরের কথা সামর্থ্যবানদের জন্যও এখন পর্যন্ত পরিবহন সুলভ বা সহজলভ্য করতে পারেনি সরকার। যার ফলস্বরূপ প্রতিদিন বাসে ঝুলতে দেখা যায় শত শত মানুষকে। ঘটে দুর্ঘটনার নামে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, প্রায়ই দেখা যায় সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা এসডিজি বাস্তবায়নের নানান সূচক নিয়ে বেশ জোর গলায় কথা বলেন। কিন্তু সড়ক নিরাপদ ও পরিবহন সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য করাও যে এই এসডিজির অংশ তা বোধ হয় তাদের কেউ জানেন না। কেননা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া তো দূরের কথা কাউকে কখনো কিছু বলতেও দেখা যায় না। আসলে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে সরকারের কেউ ভাবে বলেও প্রতীয়মান মনে হয় না।
যাত্রীদের অধিকার নিশ্চিতের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ পরিবহন মালিকদের স্বার্থ নিশ্চিতেই বেশি ব্যস্ত এমন অভিযোগ করে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের এই নেতারা বলেন, যাতায়াত নিরাপদ করতে বিআরটিএকে কখনোই পদক্ষেপ নিতে দেখার আশাও মানুষ করে না। কারণ তারা এখন আর গণমানুষের প্রতিষ্ঠান নেই। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি পরিবহন মালিকদের গোলামে পরিণত। যা সুস্পষ্ট হয় তেল-গ্যাস কিছু একটার দাম বাড়লেই। তখন তারা জনসাশ্রয়ী ভাড়া নির্ধারণের কথা বেমালুম ভুলে যান। বিআরটিএ আসলে এই সেক্টরে এসডিজি বাস্তবায়নের কথা ভাবেও না। কারণ এসডিজি বাস্তবায়ন করতে গেলে রাষ্ট্রীয় পরিবহন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। যা বেসরকারি পরিবহন ব্যবসায়ীরা কখনোই চায় না।
একটি টেকসই ও নিরাপদ দেশ গড়তে দ্রুততম সময়ে জনবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করার আহ্বান জানান যাত্রী অধিকার অন্দোলন নেতৃদ্বয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।