পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক জোড়া কানের দুল আর দুটি আংটির জন্য খুন হন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্যের স্ত্রী শামীমা আক্তার (৪৫)। চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার কিবরিয়া জাফরের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার পুলিশ এ তথ্য জানায়।
নগর পুলিশের বন্দর জোনের উপ-কমিশনার শাকিলা সুলতানা জানান, গ্রেফতার কিবরিয়া স্বীকার করেছেন ডাকাতির উদ্দেশেই শনিবার রাত ২টায় প্রতিবেশী শামীমার বাসায় হানা দেন তিনি। এ সময় তার সাথে ছিলেন আরও দুই সহযোগী। দরজা নক করতেই শামীমা দরজা খুলে দেন। এরপর কিবরিয়া ও তার সহযোগীরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। ওই বাসা থেকে দু’জোড়া কানের দুল ও দুটি আংটি, মোবাইল ফোনসহ কিছু মালামাল নিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই ভবনের সব বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় কিবরিয়ার কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হয়। এছাড়া কিবরিয়ার হাতে কামড়ের গভীর ক্ষত দেখা যায়। এরপর তাকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি খুনের দায় স্বীকার করেন। বেকার কিবরিয়া অভাবের তাড়নায় শামীমার বাসায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে। দুই প্রতিবেশীকে নিয়ে ডাকাতিসহ খুন করে নিজ বাসায় অবস্থান করে। তবে তার বাকি দুই সহযোগী বাসা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে কিবরিয়া স্বীকার করে শামীমার মুখ চেপে ধরতেই সে নিজেকে রক্ষা করতে তার হাতে কামড় বসিয়ে দেয়। রক্তাক্ত হওয়ার পরও সে তার মুখ ছাড়েনি। শ^াসরোধ করে খুনের পর ঘরের মধ্যেই হাত-পা বেঁধে লাশ ফেলে রাখা হয়। নিহত শামীমার স্বামী বিজিবির সুবেদার জামাল উদ্দিন রাঙামাটিতে কর্মরত আছেন। নিঃসন্তান শামীমা নগরীর নিউমুরিং এলাকায় আবুল ফয়েজের বিল্ডিং নামে একটি ভবনের পঞ্চম তলায় এক রুমের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। খুনের শিকার শামীমার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল এলাকায়। গ্রেফতার কিবরিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।