পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রোহিঙ্গা ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে মাঠে নামবেন ২০ দলীয় জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আগেই। গত দুই দিন দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে এ নিয়ে আলাপ করেছেন তিনি।
নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, আলাপকালে সিনিয়র নেতারা এই ইস্যুতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী কর্মসূচি দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ বলেছেন কক্সবাজার পর্যন্ত লংমার্চের কথা, আবার কেউ পরামর্শ দিয়েছেন গণসংযোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে জোটনেতাদের বার্তা পৌঁছানোর।
এর আগে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সে দেশের সরকারি বাহিনী পরিচালিত সুপরিকল্পিত ও বর্বরোচিত ‘জেনোসাইড’-এর ঘটনা ঘটাচ্ছে। সংখ্যালঘু একটি জাতিগোষ্ঠীর ওপর এমন পৈশাচিক নির্মূলাভিযানে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ স্তম্ভিত।
তিনি বলেন, বর্তমানে ‘রাখাইন’ নামে পরিবর্তিত এককালের স্বাধীন ও গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যম-িত আরাকান অঞ্চলে পরিচালিত এই গণহত্যা অভিযানে সরকারি বাহিনীর ছত্রছায়ায় ভিন্ন সম্প্রদায়ের দাঙ্গাবাজরাও অংশ নিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিধর্মবিদ্বেষী আক্রোশ চরিতার্থ করতে তাদেরকে গুলি ও জবাই করে এবং পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে তাদেরকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সম্ভ্রম লুণ্ঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গা নারীদের। দুগ্ধপোষ্য শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির নেতৃত্বে পরিচালিত মায়ানমারের প্রশাসনই এ অমানবিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের হোতা। অনতিবিলম্বে এই জেনোসাইড বন্ধের জন্য মায়ানমার সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। মায়ানমারের এই জেনোসাইডের বিরুদ্ধে দেশবাসীসহ সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের সোচ্চার হবার এবং নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াবার আহ্বান জানান তিনি।
এই ইস্যুতে করণীয় নিয়ে গত দুইদিন দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন বিএনপি প্রধান। জোট নেতাদের সাথেও আলোচনা করেছেন।
সূত্র মতে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি ঝটিকা সফরে বের হবেন খালেদা জিয়া। তার যাত্রাপথে কয়েকটি পথসভার আয়োজন করা হবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আলাপকালে একাধিক নেতা ইনকিলাবকে জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি প্রধান দেশবাসীর কাছে ইতোপূর্বে বিবৃতির মাধ্যমে যে আহ্বান জানিয়েছেন তার পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন মাঠে নেমে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।