গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দ্য সূর্যসেন হলে পচা খাবার পরিবেশন করায় একটি দোকান বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তসলিম নামের এক দোকানী নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বাসি খাবার খাওয়ায়। মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী রুমে খাবার নিয়ে দেখতে পায় যে, খাবার থেকে উৎকট গন্ধ আসছে। পরে দোকানে এসে দোকান মালিকের সাথে বাক বিতণ্ডায় জড়ায় ওই শিক্ষার্থী। মুহুর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। সংক্ষুব্ধ হয়ে খাবার পেলে দিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের হলটা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'দুটো অনুষদের নিকটে হওয়ায় দিনের বেলা এখান শিক্ষার্থীদের ভীড় থাকে প্রচুর। সবাই এখনে খেতে আসে। আর যেহেতু হল ক্যান্টিনে পর্যাপ্ত জায়গা নেই আবার খাবারও সংকট তাই সবাই ভীড় করে এসব খাবারের দোকানে। দোকানে খিচুড়ি, পোলাও ও তেহারি পাওয়া যায়। খাবারের পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় প্রচুর পরিমাণ রান্নাও করে দোকান মালিকরা। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ রান্না করায় দুপুরের কিছু খাবার থেকে যায় রাতেও।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, এদিনও হলের মাস্টার্সের এক ভাইকে খাবার দেয়ার সময় দুপুরের পচা মাংস আর রাতের নতুন রান্না করা মাংসের মিশেল করে খাবার পার্সেল করে। ওই শিক্ষার্থী রুমে গিয়ে খাবার খুলে উৎকট গন্ধ পায় এবং দোকানে এসে জবাব চাইলে দোকান মালিক তার সাথে খারাপ আচরণ করে। এ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
প্রত্যক্ষদর্শি একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, দোকানে খাবারের উচ্চ চাহিদা থাকায় চোখ কপালে উঠে গেছে দোকান মালিক তসলিমের। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত খারাপ আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোকানের কর্মচারীদের আচরণ অফিসার সূলভ। খাবারের গুণাগুণ নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে প্রায়শই বলে থাকে "খেলে খান না খেলে যান।"
বিষয়টি নিয়ে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান বলেন, হল দোকানের খাবারের মান উন্নয়নের জন্য হল ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনো পরিবর্তন আসেনি। আজ এক শিক্ষার্থীর খাবারে পচা মাংস দেয়া হয় তাই শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়। পরে হল প্রশাসন এসে দোকানটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। তসলিমের খারাপ ব্যবহারের কারণে বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্যও আমরা হল প্রশাসনকে জানিয়েছি। শীঘ্রই একটা ব্যবস্থা হবে বলে আশা করছি।
বিষয়টি জানতে হল প্রভোস্ট প্রফেসর মকবুল হোসেন ভূইয়াকে একাধিকবার ফোন দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হলের ক্যান্টিনে পচা খাবার পরিবেশন করায় ক্যান্টিনে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে হল প্রশাসন ওই ক্যান্টিন মালিককে পরিবর্তন করে নতুন ম্যানেজার দিয়ে ক্যান্টিন চালাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।