গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ছিনতাই। ছিনতাইকারী গ্রেফতারে কমলাপুর, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, মুগদা, পল্টন, হাতিরঝিল ও তেজগাঁও এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। তাদের কাছ থেকে ১৮টি মোবাইলফোন, সাতটি সুইচ গিয়ার, দুটি এন্টি কাটার, ছয়টি ব্লেড, একটি কাঁচি, বিষাক্ত মলমের কৌটা, স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৩২৪ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৩ এর স্টাফ কর্মকর্তা (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা বলেন, রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারী সদস্যরা ঘোরাফেরা করে। তারপর যাত্রীদের টার্গেট করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, আবার কখনও বিষাক্ত চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এভাবে যাত্রীর সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে ছিনতাইকারীরা ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। এছাড়াও কখনও ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের চোখে-মুখে বিষাক্ত মলম বা মরিচের গুড়া বা বিষাক্ত স্প্রে করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এসময়ে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।
তিনি বলেন, এসব ছিনতাইকারী সদস্যদের ভুক্তভোগীরা খুব কম ক্ষেত্রেই শনাক্ত করতে পারেন। ফলে এসব ছিনতাইকারী সদস্যরা নির্বিঘ্নে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যায়। সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে উৎ পেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাই কাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা বোধ করে না।
র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক বলেন, খিলগাঁও মালিবাগ রেইল গেইট, দৈনিক বাংলা মোড়, পীরজঙ্গি মাজার ক্রসিং, কমলাপুর বটতলা, মতিঝিল কালবার্ট রোড, নাসিরের টেক হাতিরঝিল, শাহবাগ, গুলবাগ, রাজউক ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং পল্টন মোড়, গোলাপ শাহর মাজার ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, আব্দুল গণি রোড, মানিকনগর স্টেডিয়ামের সামনে, নন্দীপাড়া ব্রিজ, বাসাবো ক্রসিং এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি দেখা যায়। এসব ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনার ফলে পথচারীদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে আসা যাত্রীরা যেন নিরাপদে দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পন্ন করে নির্বিঘ্নে স্বস্তির সঙ্গে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন এ লক্ষ্য নিয়ে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
চেইন নিয়ে ছিনতাইকারীর চম্পট, দৌড়ে ধরলো র্যাব ঃ এদিকে রাজধানীর কমলাপুরে এক নারীর গলা থেকে চেইন ছিনতাইশেষে পালানোর সময় ছিনতাইকারিকে ধরে ফেলেন এক র্যাব সদস্য। ওই ছিনতাইকারীর নাম আরিফ হোসেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর ছিনতাই হওয়া দামি স্বর্ণের চেইনটি ফিরে পেয়ে ভূক্তভোগী নারী সাহসী র্যাব কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।