Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হেরে গিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী রেনজি

| প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে গণভোটে শোচনীয় হারের পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের ভূমিকা এবং আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা কমিয়ে আনতে গত রোববার ইতালিতে গণভোট হয়। এই ভোটে সব বিরোধী দলই সংবিধান সংশোধনের বিপক্ষে ছিল। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরএআইয়ের বুথফেরত জরিপে দেখা যায়, মাত্র ৪২ থেকে ৪৬ শতাংশ ভোটার প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজির ডাকে সাড়া দিয়ে সংবিধান সংস্কারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন; বাকি ৫৪ থেকে ৫৮ শতাংশ ভোটার তাকে ‘না’ বলে দিয়েছেন। এরপর গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী রেনজি। তিনি বলেন, ভোটের ফল তিনি মেনে নিয়েছেন; এখন বিরোধীদের একটি স্পষ্ট প্রস্তাব নিয়ে সামনে আসতে হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, দায়িত্ব নেয়ার আড়াই বছরের মাথায় রেনজির এই পদত্যাগের ফলে ইউরো জোনের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইতালি নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পড়তে পারে। অর্থনৈতিক সংস্কারের ধীরগতি নিয়ে সমালোচনার মুখে এনরিকো লেত্তার পদত্যাগের পর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী হন ৩৯ বছর বয়সী মাত্তিও রেনজি। ইতালির ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে সরকারপ্রধানের দায়িত্বে আসেন।
মধ্য বামপন্থী রেনজির প্রতিশ্রুতির মধ্যে নির্বাচন পদ্ধতি ও সংবিধান সংস্কারের পাশাপাশি শ্রমিক ও কর ব্যবস্থাপনার সংস্কারের কথাও ছিল। ইতালিকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আরো এগিয়ে নিতে আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম্য কমিয়ে আনার কথা বলেছিলেন তিনি। আর সেজন্যই সাংবিধানিক সংস্কার করে সিনেটের প্রভাব ও আঞ্চলিক প্রশাসনের ক্ষমতা কমিয়ে আনার প্রস্তাব ছিল তার। কিন্তু বিরোধী দলগুলোর বক্তব্য ছিল, ওই প্রস্তাব মেনে সংবিধান সংশোধন করা হলে বাস্তবে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। ইতালির গণভোটের ফল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদেরও অস্বস্তিতে ফেলেছে। ‘না’ এর জয়কে দেখা হচ্ছে জনগণের প্রতিষ্ঠানবিরোধী মনোভাবের নির্দেশক হিসেবে।
অভিবাসনবিরোধী নর্দার্ন লিগের নেতা মাত্তিও সালভিনি এই ভোটের ফলকে বর্ণনা করেছেন বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশের পরাক্রমের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয় হিসেবে। ভোটে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে রেনজি জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি পদত্যাগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলবেন এবং পরে প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। তিনি বলেন, ভাগ্য আমাদের সহায় হোক। তবে ইতালির প্রেসিডেন্ট চলতি মাসের শেষে বাজেট পাস হওয়া পর্যন্ত রেনজিকেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে অনুরোধ করতে পারেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিবিসি, রয়টার্স। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ