মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : আট বছর দায়িত্বপালনের পর গতকাল সোমবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি। বিভিন্ন কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে অন্যতম হলো নিজেকে ও পরিবারকে সময় দেওয়া। তিনি বলেছেন, এটাই অবসর নেওয়ার উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন তিনি। গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জন কি বলেন, আমি জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। আমি জানি না ভবিষ্যতে কী করব। তিনি আরও বলেন, নিজেকে তিনি কখনো পেশাদার রাজনীতিবিদ মনে করেন না। একসঙ্গে দল ও দেশের নেতা হওয়া বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্প্রতি আট বছর ও মধ্য-ডানপন্থী ন্যাশনাল পার্টির নেতা হিসেবে ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছেন জন কি। আগামী সপ্তাহে জানা যাবে, নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পছন্দসই নাম হতে পারে উপ-প্রধানমন্ত্রী বিল ইংলিশ। জন কি জানান, স্ত্রী ব্রোনা, দুই সন্তান স্টাফেন ও ম্যাক্সের সঙ্গে আগের মতো আরও বেশি সময় কাটাবেন। নিজেকে ও পরিবারকে বেশি সময় দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে অন্য আরও কারণ আছে। নিজের ও দলের জন্য চলে যাওয়ার এটিই সেরা সময় বলে মন্তব্য করেন কি।
২০০২ সালে পার্লামেন্টে ঢোকেন জন কি। চার বছর পরে ন্যাশনাল পার্টির নেতৃত্বে আসেন। ২০০৮ সালে নয় বছরের লেবার পার্টির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় তিনি শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। ওই ভূমিকম্পে ১৮৫ জনের প্রাণহানি হয়। বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার সময়েও তিনি অর্থনীতিকে সচল রেখেছিলেন। নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কি একজন জনপ্রিয় নেতা। স্ত্রী ব্রোনার অনুরোধে তিনি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে অনুতি নির্বাচনে ন্যাশনাল পার্টির হয়ে তৃতীয়বারের মতো জয়ী কি বলেন, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। আগামী ১২ ডিসেম্বর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার দিন নির্ধারণ করেছেন। ২০০৮ সালে লেবার পার্টির ৯ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ককে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন জন কি। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট জন কির নেতৃত্বে নিউ জিল্যান্ড ভালোভাবেই সামাল দিতে সক্ষম হয়। তার সময়ে দেশটির উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতিও হয়েছে। এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।