গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, নিরক্ষরতাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে প্রতিটি নাগরিককে সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষর মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের শিক্ষা ও সাক্ষরতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (বিএনএফই) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষকে মানবসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে 'মানব পুঁজি গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রয়াসে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনএফই'র মহাপরিচালক মুঃ নুরুজ্জামান শরীফ, ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সোহেল ইমাম খান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের আহŸানে প্রতিবছর ৮ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বের ন্যায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে। এ বছর দিবসটির স্লোগান ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. মোহাম্মদ সাদত আলী কনফারেন্স রুমে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের কো কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস কমিটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার আওতায় আনতে পারলে কমবে সন্ত্রাস। কারণ, অলস সময়ই কু চিন্তার জন্ম দেয়। অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার পেছনে যে সময়টা ব্যয়িত হবে, মূলত সেই অবসর সময়টাতে সন্ত্রাসবাদী কাজে লিপ্ত হওয়ার। একজন অবসর সময় কাটানো মানুষ যদি, সেমিনার, শিক্ষা বিষয়ক কর্মশালায় যোগ দেয়, তাহলে স্থায়ী স্বাক্ষর মানুষ তৈরি হবে। যে হবে একজন দক্ষ মানবসম্পদ। এছাড়াও কারিগরি শিক্ষাকে বিশেষভাবে গুরুত্বদান করে তিনি প্রাথমিক শিক্ষার পরপরই বৃহৎ পরিসরে এর প্রসার ঘটানোর আহŸান জানান নীতিনির্ধারকদের প্রতি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, দেশে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনের জন্য শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এগিয়ে আসতে হবে। আরো গবেষণা হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনের বিকল্প নেই।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান সহ আরও অনেকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।