মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যখন বিজেপি বিরোধী মহাজোট গড়তে রাজ্য সফরে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ভারত যাত্রা শুরু করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তখন ফের বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। যদিও এই উদ্যোগ যিনি নিয়েছেন, হরিয়ানার সেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালার জাতীয় রাজনীতিতে তেমন একটা নামডাক এবং গুরুত্ব নেই। কিন্তু তার বাবা দেবী লালের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে সেখানে বড় সমাবেশের আয়োজন করছেন দুর্নীতির মামলায় জামিনে মুক্ত চৌতালা।
২৫ সেপ্টেম্বরের ওই সমাবেশের তিনি নাম দিয়েছেন ঐক্য সমাবেশ। মঙ্গলবার দিল্লিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে চৌতালা দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি নীতীশকে ২৫ তারিখের সভায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানান। নীতীশ তাকে পরামর্শ দেন, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে সভায় আমন্ত্রণ জানাতে। কিন্তু চৌতালা সাফ জানিয়ে দেন, কংগ্রেসকে তিনি ডাকবেন না। কারণ তার ও তার প্রয়াত পিতার মূল লড়াই ছিল কংগ্রেসের সঙ্গে। আজও কংগ্রেসকে তারা শত্রু মনে করেন।
চৌতালা বলেন, ২৫ তারিখের ঐক্য সমাবেশে বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছেন তিনি। সেই তালিকায় যেমন ডিএমকে, এসপি, বিএসপি, আরজেডি আছে, তেমনই কংগ্রেস ভেঙে তৈরি দলগুলিকেও ডাকা হচ্ছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও আছেন সেই তালিকায়।
সূত্রের খবর, নীতীশকে চৌতালা বলেন, বাবার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কংগ্রেসকে বাদ রেখে বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছেন তিনি। হরিয়ানার কৃষক নেতা দেবী লাল ছিলেন জনতা দলের গোড়ার সময়ের নেতা। দীর্ঘদিন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
১৯৮৯ সালে রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে হটিয়ে দিল্লিতে ক্ষমতাসীন হয় জনতা দলের সরকার। প্রধানমন্ত্রী হন কংগ্রেস ছেড়ে আসা বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং। উপ প্রধানমন্ত্রী হন দেবী লাল। পরে জনতা দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে চৌতালা গড়ে তোলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল লোক দল। সূত্রের খবর, নীতীশ কুমার এই বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, কংগ্রেস বাদে বাকি বিরোধী দলগুলি অন্তত এই বৈঠকে একত্রিত হোক। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।