পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতের গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদুৎ দিতে চান দেশটির অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে আদানি পাওয়ার। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায় ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের এ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ওই সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু হতে পারে। যদিও শীত থাকায় ডিসেম্বরে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে।
গত সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। এরপর তার ভেরিফায়েড টুইটারে এক টুইটে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট গোড্ডা বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু করার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চুক্তি অনুসারে আগামী ২৫ বছর এ কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনে নেবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। সর্বশেষ আগস্ট পর্যন্ত পিডিবির অগ্রগতি প্রতিবেদন বলছে, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৪৮ মেগাওয়াট এবং আগামী বছরে আরও ৭৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা রয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহের সঞ্চালন লাইন তৈরি হলেও বাংলাদেশের দুই প্রান্তের উপকেন্দ্রের কাজ শেষ হয়নি। বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করার জন্য আপাতত অস্থায়ী উপকেন্দ্রের মাধ্যমে গত ১৮ আগস্ট ওই কেন্দ্রে বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। তাদের কেন্দ্রটি পুরোপুরি তৈরি হলে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে। প্রথম ৫০ মেগাওয়াট করে সরবরাহ করবে। এরপর ধাপে ধাপে পুরো সক্ষমতা যাচাই শেষে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ শুরু হবে।
বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে,ভারতীয় আদানির কেন্দ্রের বিদ্যুৎ আনতে দিনাজপুরের রোহনপুর সীমান্ত এলাকা থেকে একটি সঞ্চালন লাইন আসছে বগুড়া পর্যন্ত। লাইন টানার কাজ শেষ হয়েছে। তবে দুই পাশের উপকেন্দ্র এখনো তৈরি হয়নি। এটির কাজ করছে চীনের ঠিকাদার সাংহাই ইলেকট্রিক কোম্পানি। দেশটিতে লকডাউনের কারণে তাদের আসতে দেরি হয়। অক্টোবরের মধ্যে সব যন্ত্রপাতি দেশে চলে আসবে। কাজ শেষ করতে ডিসেম্বর লেগে যেতে পারে।
গত সোমবার সকাল ১০টায় দিল্লীর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১২টার দিকে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী উঠেন হোটেল আইটিসি মাওরায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।