পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পর্যটনের জন্য পরিবেশ তৈরি হলে বিদেশি পর্যটক আসবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে পাইলট নিয়োগে ওঠা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংগঠটির সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপের উপস্থাপনা করেন সাধারন সম্পাদক মাসউদুল হক।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে পাইলট নিয়োগের বিষয়টি। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত করা হয়েছে, বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরাও তদন্ত করেছি, বিমানের নিজস্ব তদন্তও হয়েছে। এর মধ্যে ইনিশিয়ালি যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সম্ভবত নয়জন তারা সিলেক্ট করেছিল, এর মধ্যে তারা সবাই বাদ পড়েছে বা জয়েন করেনি।
তিনি বলেন, স্বর্ণ নিয়ে ধরা পড়ার ঘটনার সাতদিন আগে গিয়েছিলাম। সেখানে ভেতরের গেটটি দেখে আমার সন্দেহ হয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম সমস্যা হতে পারে, তার চারদিন পরই ঘটনাটি ঘটেছে। এখন সেখানে শক্তিশালী গেট দেওয়া হয়েছে, সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। বিমানে ওঠানামার চেক করার জন্য বলেছি। এটি দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, যাত্রীদের সুবিধার জন্য এয়ারপোর্টে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। তবে, যাত্রীরা ট্রলি নিয়ে যাতে রোড পর্যন্ত বের হতে পারবেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা আরও ট্রলি এনেছি, আশাকরি ট্রলির সঙ্কট হবে না। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারপোর্টে যাওয়ার বিষয়টি আমিও অনুধাবন করেছি। তৃতীয় টার্মিনালে যাতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে যাত্রীরা যেকোনো পরিবহন নিয়ে যেতে পারেন সে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। যাত্রীরা কিন্তু যেকোনো পরিবহন নিয়ে এয়ারপোর্টে গিয়ে আবার আসতে পারবেন ট্রাফিক সিগনাল ছাড়া।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দায়িত্বে থাকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা প্রাথমিকভাবে তাদের সিলেক্ট করেছিল তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেবো। বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তদন্ত দাবি করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে একটি চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে বলা হয়, পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে বিমানের অপারেশনাল নির্দেশনা (ম্যানুয়াল), বাপার সঙ্গে বিমানের চুক্তি চরমভাবে লঙ্ঘন হয়েছে। বাপা এসব নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া ওই ফ্লাইট কর্মকর্তারা নিয়মিত ফ্লাইট কর্মকর্তা হিসেবে ফ্লাই করতে পারবেন না, যতক্ষণ না তারা ৩০০ ঘণ্টা ফ্লাই করছেন। এসব ফ্লাইট কর্মকর্তাদের জন্য এখন বিমান বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। একই সঙ্গে বিমানের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা প্রশিক্ষণ বিভাগের (সিওটি) প্রধানের স্ত্রী পাইলট হিসেবে নিয়োগ পেতে যে আবেদন করেছেন তাকে স্বার্থের দ্বন্দ্ব বলেও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।