নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপ থেকে খালি হাতে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুধু মাঠের পারফরম্যান্সেই নয়, নিজেদের শরীরি ভাষাতেই ছিলনা লড়াই করার মানসিকতার ছিঁটেফোঁটাটুকুও। আর ক’দিন পরই অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ। তার আগে সাকিব আল হাসানের দল আরেক তাসমান প্রতিবেশি নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে পাকিস্তানকে নিয়ে। টানা ব্যস্ততায় থাকা ক্রিকেটারদের একটু বিশ্রাম দিলেও হাতগুটিয়ে বসে নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শুরু করে দিয়েছে তার প্রস্তুতি।
মিরপুর হোম অব ক্রিকেটের উইকেটগুলোতে অসমান বাউন্স আর মন্থর গতির কারণে ব্যাটারদের আদর্শ প্রস্তুতি নিয়ে বরাবরই আছে প্রশ্ন। দেশের বাইরে গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে খেলতে তাই কংক্রিটের উইকেটের শরণাপন্ন হচ্ছে বিসিবি। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠের এক কোনায় তৈরি করা হচ্ছে দুটি উইকেট। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই উইকেট দুটি পুরো প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। গত দুদিনের বৃষ্টিতে অবশ্য কাজ কিছুটা মন্থর। ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ জানিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদা থেকে তড়িঘড়ি তৈরি করা হচ্ছে উইকেট দুটি।
টি-টোয়েন্টিতে দলের টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরণ শ্রীরাম বাংলাদেশে আসবেন ১১ তারিখ। ১২ তারিখ থেকেই জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা কয়েকজন ক্রিকেটারকে পরখ করবেন তিনি। বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার আগে তার দুই-তিন দিনের সেশন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে এই উইকেটগুলোতেই হতে পারে অনুশীলন। ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের কর্মকর্তা ও সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীস জানালেন, টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদা শুনে এই কাজ হাতে নিয়েছেন তারা, গ্রাউন্ডস বিভাগের অধীনে নির্মিত হচ্ছে উইকেট, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের কাছে দুটা তিনটা কংক্রিট উইকেটের প্রস্তাবনা ছিল। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা বিভিন্ন দেশে যখন বৃষ্টির মৌসুম থাকে, তখন তারা কিন্তু কংক্রিটের উইকেটে অনুশীলন করে। আমরা কিন্তু আমাদের জাতীয় দলের বেশ কয়েক বছর ধরে অনুশীলনে দেখছি খেলোয়াড়রা মার্বেল সেøভের ওপর ব্যাটিং করে। এতে বলের গতি বেশি থাকে এবং ভালো বাউন্সার পাওয়া যায়।’
বর্তমান বাস্তবতা আর সামনের এফটিপিতে সবচাইতে বেশি ম্যাচ পেয়েছে বাংলাদেশ। যার প্রায় অর্ধেকই খেলতে হবে দেশের বাইরে গিয়ে। সেই বাস্তবতার কথা মাথায় রেখেই এমন প্রস্তুতি বলে জানালেন সাবেক এই ওপেনার, ‘আমরা ৫০ শতাংশ ম্যাচ দেশে খেলি, আর ৫০ শতাংশ দেশের বাইরে। সেখানে আমরা দেখি বেশিরভাগ উইকেটে পেস এবং বাউন্স থাকে। তো ওই পেস বাউন্সটা রেপ্লিকেট করার জন্যই এই কংক্রিট উইকেট তৈরি করা। এখানে বল স্কিড করবে, বাউন্স করবে। তো আমাদের ব্যাটারদের যেমন অনুশীলন হবে, তেমনি বোলারদেরও ওই ধরনের উইকেটে অনুশীলনের সুযোগ হবে। গ্রাউন্ডস বিভাগ এ দুইটা উইকেট বানাচ্ছে।’
আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে অস্ট্রেলিয়ায়। তার আগে চলতি মাসের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। কংক্রিটের উইকেটে প্রস্তুতি নিলে গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন নাফীস, ‘সাধারণত অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং আরব আমিরাতেও আমরা দেখেছি উইকেট ফ্লাট থাকে। বল সুন্দর ব্যাটে আসে, সুতরাং এটা ওটাকে রেপ্লিকেট করবে। পরবর্তীতে দুটা অ্যাস্ট্রোটার্ফ উইকেট করারও পরিকল্পনা আছে, যেটা ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশের সঙ্গে মিল থাকবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।