মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিল্লির রাজপথ এবং সেন্ট্রাল ভিস্তা লনের নাম পরিবর্তন করার ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। আর এবার মোদি সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
তিনি মঙ্গলবার নয়াদিল্লির আইকনিক রাজপথের নাম পরিবর্তন করে ‘কর্তব্য পথ’ করার কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার প্রতি কটাক্ষ করে বলেছেন, তিনি আশা করেন প্রধানমন্ত্রীর নতুন সরকারী বাসভবনের নাম হবে ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ় মঠ’ হবে, যার আক্ষরিক অর্থ ‘বিভ্রান্ত মঠ’।
উল্লেখ্য, অতীতেও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সমালোচনার সরব হতে দেখা গিয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। মুদ্রাস্ফীতি হোক কিংবা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, বিভিন্ন প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। আর এবার কেন্দ্র সরকারের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হলেন মহুয়া।
সোমবার মোদি সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, দিল্লির রাজপথের নাম পরিবর্তন করে কর্তব্য পথ রাখা হতে চলেছে। এক্ষেত্রে নেতাজির মূর্তি থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন অব্দি পথের নতুন নামকরণ করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকারের এমন মনোভাবের প্রথম আন্দাজ মেলে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নরেন্দ্র মোদি জানান, ‘ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রভাব থাকা সকল জিনিস বাতিল করতে হবে।’ আর এবার তার বক্তব্যের সূত্র ধরেই দিল্লির রাজপথ এবং সেন্ট্রাল ভিস্তা লনের নাম বদল করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র।
যদিও বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বর্তমানে একাধিক মহল থেকে সমালোচনা ঝড় উঠে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এদিন মহুয়া মৈত্র একটি টুইট করে বলেন, ‘এসব কি হচ্ছে? ইতিহাস নতুন করে লেখার ঝোঁক রয়েছে বিজেপির। কিন্তু সেই জন্য ওরা আমাদের সংস্কৃতিকে নতুন করে তৈরি করতে চাইছে। এটাই ওদের একমাত্র কর্তব্য হয়ে উঠেছে।’ যার পরেই তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে শুধু দিল্লির রাজপথের নাম পরিবর্তনই নয়, এছাড়াও রেস কোর্স রোড এবং মুঘলসরাই স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে লোককল্যাণ মার্ক এবং দীন দয়াল উপাধ্যায় স্টেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।