গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বনানীর বনানীর ১১ নম্বর সড়কের ব্যাংক এশিয়া ভবনের ৭৭ নম্বর বাড়ির একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। তবে সেখানে মানুষের বসবাস করার কথা থাকলেও সেখানেই চলছিল অবৈধ মিনিবার। বাইরে থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই সেখানে মাদক সেবন ও বিক্রি হতো। এই কাজটি করতেন বলাকা ব্লেড (বর্তমানে সামাহ রেজার ব্লেডস) ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক সেলিম সাত্তার। তার বারে বিভিন্ন ব্যক্তিরা মাদক সেবন ও বিক্রি করতেন। তবে সেলিমের ছিল না মাদক সেবন বা বিক্রির লাইসেন্স।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনানীর ১১ নম্বর সড়কের ব্যাংক এশিয়া ভবনের ৭৭ নম্বর বাড়ির ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। অভিজানের সময় বিপুল পরিমাণ ফরেন লিকার, এমডিএমএ, কোকেন, এলএসডি, ক্যানাবিস চকলেট, কুশ ও সিনথেটিক গাঁজাসহ বিভিন্ন মূর্তি জব্দ করা হয়। এসময় ফ্ল্যাটের মালিক ও মাদকের সঙ্গে জড়িত সেলিম সাত্তারকেও আটক করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানায়, সাবেক বলাকা ব্লেড বর্তমানে সামাহ রেজার ব্লেডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক সেলিম সাত্তারের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে তাকে আটক করা হয়। আটক সেলিম বিলাসবহুল ওই ফ্ল্যাটেই খুলে বসেছিলেন অবৈধ মিনিবার। তার বারে বিভিন্ন ব্যক্তিরা এসে মাদক সেবন ও বিক্রি করতেন। তবে তার মাদক বিক্রি ও সেবনের ছিল না কোনো লাইসেন্স।
এবিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিএনসির উপ-পরিচালক (উত্তর) রাশেদুজ্জামান বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারি বনানী এলাকার ১১ রোড়ের ৭৭ নম্বর হাউজের এম ব্লকের ব্যাংক এশিয়া বিল্ডিংয়ের লিফটের ৮ নম্বরের এই বাসায় অবৈধ মাদক বিক্রি ও সেবন করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ফরেন লিকার, এমডিএমএ, কোকেন, এলএসডি, ক্যানাবিস চকলেট, কুশ, ও সিন্থেটিক গাঁজা, সিসা ও লিকুইড গাঁজা জব্দ করা হয়। এছাড়া মাদক বিক্রির ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তিনি বাংলাদেশ ও সুইডেনের দৈত্য নাগরিক। সেলিম সাত্তার বিভিন্ন সময়ে বিদেশে যাতায়াতের মাধ্যমে এ মাদক সংগ্রহ করতেন। এই বাসাটি তার নিজস্ব। উদ্ধার হওয়া মাদক তিনি নিজে ব্যবহার ও বিক্রি করে আসছিলেন। তিনি এ কাজটি কতদিন ধরে করছেন সেটি তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
বাসার ভেতরে মিনি বারে কারা আসতেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএনসির এই কর্মকর্তা বলেন, বাসার ভেতরে বারে আটক সাত্তারের বন্ধুবান্ধবসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা আসতেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে মাদক বিক্রি করতেন।
ডিএনসির উপ-পরিচালক (উত্তর) রাশেদুজ্জামান বলেন, পাশাপাশি কষ্টি পাথর, মূর্তি উদ্ধার করা হয়। তবে কষ্টি পাথরের মতো দেখতে মূর্তিগুলো আসল না। এগুলো বহু পুরোনো মৃৎশিল্প। বাসাটিতে আটক সেলিমের স্ত্রী ও গৃহকর্মীসহ চারজন থাকতেন। মাদকের সঙ্গে সেলিমের স্ত্রীর কোনো যোগসাজশ পাওয়া যায়নি বলে তাকে আটক করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।