গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানী শ্যামপুর থানার ধোলাইপাড় বস্তিভিটা বালুর মাঠে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নয়ন ইসলাম (১৭) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সে স্থানীয় ইউসুফ আর কে চৌধুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিকেল পৌনে ৪টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা সিরাজুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, আমরা তাকে ধোলাইপাড় বস্তিভিটা বালুর মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে তার বাবাকে খবর দিলে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে গেছে তা বলতে পারি না।
নিহতের বাবা কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। আনার পর চিকিৎসক জানিয়েছেন আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। তবে কে বা কারা আমার ছেলেকে খুন করেছে তা এখনো জানতে পারিনি। তার বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি টেইলার্সে কাজ করি। আমার ছেলে ইউসুফ আর কে চৌধুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। আমার তিন ছেলে, তার মধ্যে সে ছিল সবার বড়। আমরা বর্তমানে জুরাইন মুন্সিবাড়ি এলাকায় থাকি। আমাদের বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার ঝামা গ্রামে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, শ্যামপুর থানার ধোলাইপাড় এলাকা থেকে এক কিশোরকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা বিষয়টি শ্যামপুর থানাকে জানিয়েছি। মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।