নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ষষ্ঠ আসরে অংশ নিতে এখন নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থান করছেন সাবিনা খাতুনরা। শনিবার সকাল পৌনে ১০টায় ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে দুপুরে কাঠমান্ডু পৌঁছায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী দল। সেখানকার দ্য সলটি হোটেলে উঠেছেন কৃষ্ণা রানী সরকার-সিরাত জাহান স্বপ্নারা। রোববার বিকাল পৌঁনে পাঁচটায় কাঠমান্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার মাঠে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল।
আগামী মঙ্গলবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই টুর্নামেন্টের খেলা। আসরে সাত দেশ দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। ‘এ’ বাংলাদেশের সঙ্গে খেলবে ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। ‘বি’ গ্রুপের তিন দল হচ্ছে- স্বাগতিক নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা। সাফের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে বেশ কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশের মেয়েরা দুর্দান্ত খেললেও সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সাবিনাদের সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স একবার রানার্সআপ হওয়া। এই টুর্নামেন্টে একচেটিয়া সাফল্য ভারতের। সাফের আগের ৫ আসরের সবগুলোর শিরোপাই গেছে ভারতের ঘরে। তবে এবার বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো কিছু করে দেখাতে চায়। প্রাথমিক লক্ষ্য সেমিফাইনাল হলেও ফাইনালে চোখ লাল-সবুজদের। টুর্নামেন্ট খেলতে দেশ ছাড়ার আগে এমনটাই জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
৬ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্ট শুরুর দিন ভুটান ও নেপালের ম্যাচ দিয়ে এবারের সাফের উদ্বোধন হলেও পরের দিন নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পর্যায়ক্রমে ১০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান ও ১৩ সেপ্টেম্বর ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে লাল-সবুজের মেয়েরা।
বাংলাদেশের এবারের জাতীয় দলটি তারুণ্যনির্ভর। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও সিরাত জাহান স্বপ্নারা ছাড়া বাকি সবাই নিয়মিত খেলে থাকেন বয়সভিত্তিক দলে। পরে জাতীয় দলে খেলে খেলে এখন কিছুটা অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছেন তারা। টুর্নামেন্টে দুই গ্রুপের সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী চার দল সেমিফাইনাল খেলবে ১৬ সেপ্টেম্বর। ১৯ সেপ্টেম্বর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সাফের টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। অন্যদিকে চারবারের রানার্সআপ নেপাল। বাংলাদেশ একবারই (২০১৬ সালে) ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।