পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর এক মা ফিরে পেয়েছেন তার হারানো মেয়েকে। মাকে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন মেয়ে লাকী। আর হারানো মেয়েকে ফিরে পেয়ে মা হামিদা খাতুনের চোখেও আনন্দাশ্রু। মেয়েকে ফিরে পেয়ে ডিবির আন্তরিকতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
জানা গেছে, গত ২০০৩ সালে হারিয়ে যান লাকী। ওই সময় মেয়েকে ফিরে পেতে তার মা অষ্টগ্রাম থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। কিন্তু মেয়ের কোনো খোঁজ পান নি। সম্প্রতি লাকীর মা হারানো মেয়েকে খুঁজে পেতে ঢাকায় ডিবিতে আবেদন করেন। আবেদনের সঙ্গে তৎকালীন অষ্টগ্রাম থানায় করা জিডি ও চেয়ারম্যানের কাছে করা নিখোঁজ আবেদন সংযুক্ত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি-প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের তত্ত্বাবধানে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলায় লাকীর অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করেন।
হারিয়ে যাবার আগে লাকীর খালা ফিরোজা ঢাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতেন। দিনে খালা তার কর্মস্থলে থাকতেন। বাসায় খালার অনুপস্থিতে আট বছর বয়সী লাকী খেলাধুলা করার জন্য বাইরে যেত। কৌতুহলবশত সদরঘাট এলাকায় লঞ্চে উঠে সে। একপর্যায়ে লঞ্চটি তার গন্তব্যস্থল খুলনার উদ্দেশে রওনা দেয়। তাই লঞ্চ থেকে নামার সুযোগ হয় না লাকীর। এভাবেই হারিয়ে যায় সে।
ঢাকা থেকে লঞ্চটি খুলনার বড় বাজার ঘাটে ভিড়লে লাকী লঞ্চের সিকিউরিটি গার্ডকে জানায়, সে হারিয়ে গিয়েছে। গার্ড তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। লাকীকে ইউনিসেফ স্কুলে ভর্তি করান। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি সিকিউরিটি গার্ড তাকে দিয়ে বিভিন্ন বাসায় কাজ করাতেন। এভাবে ২ বছর অতিক্রম হয়। ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় গৃহকর্ত্রীর নির্যাতন সইতে হয় ছোট্ট লাকীকে। পরে কাউকে না জানিয়ে লাকী নিজেই শিহাব নামে এক লোকের বাসায় কাজ নেয়। লাকীকে না পেয়ে সিকিউরিটি গার্ড খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে লাকীর সন্ধান পান ওই সিকিউরিটি গার্ড।
শিহাবের বাসায় হাজির হয়ে সিকিউরিটি গার্ড লাকীকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেন। পাশাপাশি তার বাসায় নেওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে শিহাব লাকীর কাছে জানতে পারেন যে, সিকিউরিটি গার্ড লাকীর আসল বাবা না। তাই শিহাব পুলিশি সহায়তায় লাকীকে নিজ জিম্মায় নিয়ে তার বাসায় পাঁচ বছর রাখেন। সেখান থেকে লাকী তার হারানো বাবা-মাকে ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করেন।
ডিবি প্রধান বলেন, লাকীর মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে খুঁজে বের করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় ডিবি। লাকীর মা হামিদা বেগম বলেন, মেয়েকে যে ফিরে পাব তা কল্পনাও করতে পারিনি। আমি ভীষণ খুশি। আর যেন কোনো মা এভাবে তার সন্তানকে না হারায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।