মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিষয়ক কমিশনের প্রধান জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান গত শনিবার দেশটির রাখাইন রাজ্যের কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় জাতিসংঘের সাবেক প্রধানকে নির্যাতনের বর্ণনা সম্বলিত কয়েক পৃষ্ঠার একটি চিঠি এবং ছবি সম্বলিত একটি মেমোরি কার্ড দেয় এলাকাবাসী। রোহিঙ্গাদের পরিচালিত সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, কফি আনান মিয়ানমারের সময় বেলা ১১টায় রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার খেয়ারী পাড়াং এলাকায় যান। সেখানে বাজারের সামনে তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। কফি আনানের আগমন উপলক্ষে ওই গ্রামের কয়েকশ নারী পুরুষ সেখানে জড়ো হয়। তার আগে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির কয়েকশ সদস্য গ্রামটির তিনদিকে অবস্থান নেয়। এরমধ্যেও কয়েকশ রোহিঙ্গা নারী পুরুষ নিজদের ভাষায় কফি আনানকে তাদের উপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা দেয়। দোভাষীর মাধ্যমে দেয়া এই বর্ণনায় উঠে আসে তাদের উপর চালানো সমারিক বাহিনী ও পুলিশের চালানো ববর্র নির্যাতনের চিত্র। কফি আনানের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা কমিশনের কর্মকর্তারা অবস্থানকালে মিয়ানমার সরকারের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের নেতা পরিবেষ্টিত ছিলো। প্রায় ৪৫ মিনিট তারা সেখানে রোহিঙ্গাদের কথা শোনেন। রোহিঙ্গারা কফি আনানকে কয়েক পৃষ্ঠার হাতে লেখা একটি চিঠি ও একটি মেমোরি কার্ড তুলে দেন। যাতে তাদের গ্রামে চালানো সেনা অভিযানের ছবি ও ভিডিও রয়েছে। মিয়ানমার সরকার গঠিত রোহিঙ্গা কমিশনের প্রধান কফি আনান গত শুক্রবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য পরিদর্শেন আসেন। ওই দিনই তাকে রাখাইন রাজ্যের রাধানী সিটুয়াতে বৌদ্ধদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, সেনা নির্যাতনে ৩০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এছাড়া গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অন্তত ১০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যদিও মিয়ানমার সরকার এবং সেনাবাহিনী সহিংসতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।