Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিচারপতি মইনুল চেয়ারম্যান নিযুক্ত ফের চালু হচ্ছে ডেসটিনি!

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের জামিন বহাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:১২ এএম

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের এমডিসহ কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের কারাগারে পাঠানো হলে থেমে যায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে কমিটি গঠনের পর ডেসটিনির কার্যক্রম চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
ওই মামলায় প্রতিষ্ঠানটির এমডিসহ কয়েকজনকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় কোম্পানি আইন অনুসারে আর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ এজিএম হয়েছিল ২০১১ সালে। দীর্ঘদিন ধরে এজিএম না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে হাইকোর্টের কাছে ডেসটিনির অবসায়ন চেয়ে মামলা করা হয়। ২০১৮ সালের ১৫ মে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বিপ্লব বিকাশ শিলসহ ১৬ জন ওই আবেদন করেন। এদিকে প্রতিষ্ঠানটির এজিএম অনুষ্ঠান ও পরিচালনার জন্য হাইকোর্টে আরেকটি আবেদন জানানো হয়।
২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর কোম্পানির পরিচালক জাকির হোসেনকে নিয়ে ৯ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হয়। তবে হাইকোর্টের গতকাল বৃহস্পতিবারের আদেশে হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাবেক জেলা জজ হাসান শাহেদ ফেরদৌস, ব্যারিস্টার মাগরুব কবীর, এফসিএ ফখরুদ্দিন আহমদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইকবাল জামানকে পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। ডেসটিনির আগের নয় সদস্যের বোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে নতুন পাঁচ সদস্যকে প্রতিষ্ঠানটির এজিএম অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই দিনে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় চার বছরের দÐিত ডেসটিনি গ্রæপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। ফলে হারুনের মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী রবিউল আলম বুদু।
প্রসঙ্গত, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা দুদকের দুই মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরমধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডেসটিনি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ