পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থ পাচারের দুই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রফিকুল আমীনের রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ তথ্য জানান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রফিকুল আমীনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ। তিনি শুনানিতে বলেন, যে গাছ বিক্রি করে টাকাটা দিতে চেয়েছিলাম সেই গাছ আর পাইনি। আর আইনে এই অপরাধে যতটুকু সাজা সে মেয়াদের সাজা এরই মধ্যে রফিকুল আমীনের খাটা হয়ে গেছে।
আদেশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগ তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো শর্তই তিনি পূরণ করতে পারেননি। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ তার জামিন আবেদন খারিজ করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে পরে রিভিউ করলে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তার জামিন আবেদ খারিজের আদেশই বহাল থাকল। আর টাকা ফেরত দিতে তার শর্তসংক্রান্ত যে আদেশ ছিল, সেটাও বহাল থাকল। সর্বোপরি পূর্বের শর্ত পূরণ না করা পর্যন্ত তার মুক্তি মিলছে না।
প্রসঙ্গত: ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুটি মামলা করে। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ১৯ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ৪৬ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আপিল বিভাগ শর্তসাপেক্ষে রফিকুল আমীনকে জামিন দেন। যেখানে শর্ত দেয়া হয় যে, ৬ সপ্তাহের মধ্যে ট্রি প্লান্টেশন প্রকল্পের গাছ বিক্রি করে ২৮০০ কোটি টাকা অথবা অন্য কোনোভাবে ২৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু শর্তপূরণ করতে না পারায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের জামিন আটকে যায়। তাকে কারাগারেই থাকতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।