নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে আবার নিজেই দলকে ডুবিয়ে দিলেন পেসার এবাদত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের প্রথম দুই ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি।
বাকি দুই ওভারে চরম বাজে বল করে দলকে ডুবিয়ে দেন এই পেসার। ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের।
টাইগারদের দেয়া ১৮৪ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে পাথুম নিসানকা ও কুশল মেন্ডিজ ৫.৩ ওভারে ৪৫ রান তোলে। এরপর টানা তিন উইকেট তুলে নেন পেসার এবাদত। ফিরিয়ে দেন পাথুম নিসানকা ২০, চারিথ আসালাঙ্কা ১, ও দানুশকা গুনাথিলাকা ১১ রানে ফিরিয়ে দেন।
তবে ওপেনার কুশল মেন্ডিজ কয়েকবার নতুন জীবন পেয়ে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন। শেষ পর্যন্ত দলের পক্ষে ৩৭ বলে চার বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ৬০ রান করেন। এরপর অধিনায়ক দাসুন শানাকা দলের পক্ষে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন। তিনি ৩৩ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তাসকিনের বলে বিদায় নেন।
চামিকা করুনারত্নে,১০ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন। শেষ মুহুর্তে মাত্র ৩ বলে অপরাজিত ১০ রান করে দলকে জেনাত আসিথা ফার্নান্দো। বল হাতে অভিষিক্ত এবাদত ৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৫১ রান দেন। পেসার তাসকিন ৪ ওভারে ২৪ রানে নেন দুটি উইকেট। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩২ রানে একটি ও মেহেদী হাসান ২.২ ওবারে ৩০ রানে নেন একটি উইকেট।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ভালো শুরুর পর দলীয় ১৯ রানে ব্যক্তিগত ৫ রানে বিদায় নেন সাব্বির। সতীর্থকে হারিয়ে সাকিবের সাথে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলেছেন মিরাজ। দারুণ শুরু করে দলীয় ৫৮ রানে সিলভার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মিরাজ। ২৬ বলে দুটি করে চার ছক্কায় ৩৮ রানে ইনিংস উপহার দেন।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রতই ফেরেন মুশফিক। ব্যাক্তিগত ৪ রান করে বিদায় নেন। তবে অধিনায়ক সাকিবের সাথে দারুণ জুটি গড়েন সহ অধিনায়ক আফিফ। কিন্তু ১০.৩ ওভারে দলীয় ৮৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৪ রান করে বোল্ড হন সাকিব। চার উইকেট হারয়ে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ঝড় তুলে ৩৭ বলে ৫৭ রানে জুটি গড়েন আফিফ। কিন্তু দলীয় ১৪৪ রানের মাথায় বিদায় নেন তরুণ এই ব্যাটার। ২২ বলে চারটি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কায় ৩৯ রানে ইনিংস উপহার দেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৭ করে বিদায় নেন। ১৭.১ ওভারে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ১৪৭। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসের সাথে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন পেসার তানকিন আহমেদ। মোসাদ্দেক ৯ বলে ২৪ ও পেসার তাসকিন আহমেদ ৬ বলে অপরাজিত ১১ রান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।