গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে যত রক্ত ঝরেছে, আগস্ট মাসের মতো এত রক্ত আর কোনো মাসে ঝরেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ঘাতকরা ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা কর্তৃক জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত "শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয়, স্বপ্নপূরণের দৃঢ় প্রত্যয়" শীর্ষক মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের উপর যতগুলো হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল বা হত্যাকাণ্ডের চেষ্টায় আক্রমণ চালানো হয়েছিল তার প্রতিটিতে জড়িত ছিল জিয়াউর রহমানের পরিবার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ'র তত্ত্বাবধানে জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। কে এম খালিদ বলেন, এ পর্যন্ত ১৯ বার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে ও জনগণের দোয়ায় তিনি প্রতিবারই রক্ষা পেয়েছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোন আকস্মিক ঘটনা ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ তেইশ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি লাভ করে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। সচিব বলেন, বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড বা বঙ্গভূমি কোনদিনই এদেশের কোন মাটির সন্তান দ্বারা পরিচালিত বা শাসিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুই এ মাটির প্রথম সন্তান যিনি এ ভূখণ্ডে স্বাধীনতা এনে দিয়ে দেশ পরিচালনা করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম প্রধান কারিগর সোনার মানুষ। আর সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়েই সে সোনার মানুষ গড়া সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কফি হাউজ সংলগ্ন উন্মুক্ত মঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত মাসব্যাপী 'শ্রাবণের শোকগাথা' শিরোনামে আবৃত্তি ও আলোচনার বিশেষ আয়োজনের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।