Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

খাবারের কি কোনো ধর্ম আছে’?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

হায়দ্রাবাদের এক সুইগি গ্রাহক মুসলিম ডেলিভারি বয়-এর দেওয়া খাবার গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় আবারো প্রশ্ন উঠেছে, ‘খাবারের কি কোনো ধর্ম আছে’?
সম্প্রতি ফুড গ্রাহকও উল্লেখ করেছেন, তার অর্ডার কোনো মুসলিম ডেলিভারি বয়ের বিতরণ করা উচিত নয়। ঘটনার পর, তেলেঙ্গানা স্টেট ট্যাক্সি এবং ড্রাইভার (জ্যাক)-এর চেয়ারম্যান শাইখ সালাউদ্দিন গ্রাহকের উল্লিখিত নির্দেশের স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করে সুইগিকে এ ধরনের অনুরোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে অনুরোধ করেছেন। তবে খাদ্য সংগ্রাহক এখনো এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এটি প্রথম ঘটনা নয়, এর পূর্বে ২০১৯ সালে হায়দরাবাদে এক ডেলিভারি বয়ও একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। এক সুইগি গ্রাহক মুসলিম ডেলিভারি বয়ের খাবার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। নির্দেশনায় তিনি উল্লেখ করেন, ‘খুব কম মশলাদার খাবার এবং হিন্দু ডেলিভারি ব্যক্তি নির্বাচন করুন। এর ওপর ভিত্তি করেই সব রেটিং হবে’।

শুধু সুইগি নয়, এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিলো মধ্যপ্রদেশের জলবপুরে। হিন্দু নয় এমন এক ডেলেভারি বয়-কে দিয়ে খাবার ডেলেভারির জন্য পাঠানোয় অর্ডার বাতিল করেছিলো জোম্যাটো গ্রাহক। সেসময় জোম্যাটোর সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা দীপিন্দর গোয়েল টুইট করেছিলেন, ‘আমরা ভারতের ধারণা এবং আমাদের সম্মানিত গ্রাহক এবং অংশীদারদের বৈচিত্র্য নিয়ে গর্বিত। আমাদের মূল্যবোধের পথে আসা কোনো ব্যবসা হারানোর জন্য আমরা দুঃখিত নই’।

সুইগি এবং জোম্যাটো উভয়ই হায়দ্রাবাদের বিখ্যাত খাদ্য সংগ্রহকারী সংস্থা। হাজার হাজার মানুষ বিশেষ করে প্রযুক্তিবিদ যারা অন্যান্য জেলা থেকে আসে তাদের খাবারের জন্য এ সংযোগকারীদের ওপর নির্ভর করেন। এ পরিস্থিতিতে তাদের কিছু গ্রাহকের এ ধরনের অনুরোধ শুধুমাত্র শহরের ব্যবসার ক্ষতি করে না বরং বিতর্কের জন্ম দেয়। সূত্র : দ্য সিয়াসাত ডেইলি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ