Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিনুক হেলিকপ্টারে নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রে, উদ্বিগ্ন ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ৯:৩০ পিএম

ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাচ্ছে। একবার নয় একাধিকবার ঘটেছে এমন দুর্ঘটনা। তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আপাতত অত্যাধুনিক চিনুক হেলিকপ্টারগুলির ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। আর এর ফলে চিন্তায় পড়েছে ভারত। কারণ, ভারতের বিমানবাহিনীতে এই চপার বহুলাংশে ব্যবহৃত হয়।

‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি চিনুকের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ফলস্বরূপ আমেরিকার সেনার ৪০০টি চিনুকের ফ্লাইটে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মার্কিন সেনার মুখপাত্র সিন্থিয়া স্মিথ সে কথা স্বীকার করে বলেছেন, প্রযুক্তি সংক্রান্ত কিছু ত্রুটি সংশোধনের জন্য সাময়িক ভাবে চিনুকের উড়ান বন্ধ রাখা হয়েছে। এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, “সবার আগে ফৌজের জওয়ানদের নিরাপত্তা জরুরি। আমাদের বিমানগুলিকে সুরক্ষিত করার সমস্ত চেষ্টা আমরা করছি।”

এদিকে, এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারত। কারণ, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে মার্কিন সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি চিনুক কপ্টার। তবে এখনই ভারতীয় বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত চিনুক কপ্টারগুলির ফ্লাইট বন্ধ করা হচ্ছে না বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে। এই ‘হেভি লিফট’ বা ভারি ওজন বহনে সক্ষম হেলিকপ্টারগুলি রাতেও উড়তে পারে। জওয়ানদের নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রে হাতিয়ার নিয়ে যাওয়া, পরিকাঠামো নির্মাণের জিনিসপত্র বহনের মতো কাজ করতে পারে। একবারে অন্তত ৪৫ জন সেনা জওয়ান এবং ১১ টন ওজন পেটের মধ্যে নিয়ে উড়ে যেতে পারে এই হেলিকপ্টারগুলি। এ ছাড়া নীচে ঝুলিয়ে আরও ১০০ কুইন্টাল ভারি জিনিস বহন করে উড়তে পারে চিনুক এইচ-৪৭।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে আমেরিকার তৈরি এই কপ্টারটি প্রথমবার হাতে পায় ভারত। বর্তমানে ১৫টি চিনুক কপ্টার রয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে। ২০১৫ সালে ১৫টি চিনুক এবং ২২টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার কিনতে বরাত দেওয়া হয়েছিল প্রস্তুতকারী সংস্থা বোয়িংকে। খরচ পড়েছিল মোট ১৮ হাজার কোটি টাকা। বিমানবাহিনী ব্যবহৃত সোভিয়েত জমানার এমআই-৩৬ ভারী পরিবহণ হেলিকপ্টারগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে আসার কারণেই পরিবর্তে চিনুক আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই হেলিকপ্টারই এবার চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ