Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীনের নজরে এবার কম্বোডিয়া? রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ৭:২১ পিএম

এবার কম্বোডিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে যাচ্ছে চীন? দক্ষিণ চীন সমুদ্রের কাছে কম্বোডিয়ায় বেইজিংয়ের একটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের খবরকে কেন্দ্র করে এ ধারণা জোড়ালো হচ্ছে। থাইল্যান্ড উপসাগরের কাছে কম্বোডিয়ার রিয়াম ঘাঁটি, একচেটিয়া ব্যবহারের জন্য চীনা নৌবাহিনীর নতুন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর।

প্রসঙ্গত, কম্বোডিয়ার অবস্থান দক্ষিণ-চীন সাগরের তীরে। একই সাগরে রয়েছে তাইওয়ান। কম্বোডিয়াতে যদি সেনা ঘাঁটি তৈরি করা যায়, তাহলে তাইওয়ানে আমেরিকার সেনাবাহিনীর উপর নজরদারি সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করছে বেইজিং। এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে। তবে, মার্কিন সংবাদপত্রে তাইওয়ানের নাম উল্লেখ্য না করলেও এমনই গুঞ্জন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে।

চীন ভালো করে জানে, রিয়াম ঘাঁটিতে চেপে বসতে পারলে তাদের পক্ষ আশাপাশের দেশগুলির উপর নজরদারি সুবিধা হবে। এছাড়া চীন সাগরে যে দ্বীপগুলির মালিকানা এতদিন ধরে বেইজিং দাবি করে আসছিল, সেই দাবি আরও জোরালো হবে বলে মনে করছে জিনপিং-এর দেশ। যদিও সামরিক ঘাঁটি বানানোর খবর চীন এবং কম্বোডিয়া—দুই দেশের সরকারই অস্বীকার করেছে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, এটিকে ‘বানানো গল্প’ এবং ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে সম্পাদিত প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী কম্বোডিয়ায় বিদেশি সামরিক ঘাঁটি বানানোর অনুমতি দেয়া বেআইনি। রিয়ামে চীনের সামরিক ঘাঁটি বানানোর খবর অস্বীকার করেছে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী টি বান। এ ব্যাপারে সরেজমিন দেখতে আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশগুলিতে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি।

তবে চীন যে রিয়ামে সামরিক ঘাঁটি করছে, তা ইঙ্গিত মিলেছে সম্প্রতি স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া একটি ছবিতে। এক মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞের মতে, রিয়ামে পূর্ব প্রান্ত বরাবর একটি জঙ্গলের মধ্যে রাস্তা তৈরি হয়েছে। ২০১৬ সালে হাইনান দ্বীপে ইয়ালাং নৌ ঘাঁটি রক্ষার জন্য তৈরি রাস্তার সঙ্গে এই রাস্তার অনেক মিল রয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সামরিক বিশেষজ্ঞ।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে রব উঠেছিল যে মিয়ানমারের কোকো দ্বীপে শি জিনপিং সরকার গোপন নৌ-সেনাঘাঁটি তৈরি করেছে। যদিও সেই খবর চীন বা মায়ানমারের সরকার স্বীকার করেনি। বিশ্ব রাজনীতিতে চীন ধীরে ধীরে নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে চাইছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিক একমাত্র বিদেশি সামরিক ঘাটি রয়েছে আফ্রিকার জিবুতিতে। চীন ও কম্বোডিয়া সরকার যাই-ই দাবি করুক না কেন, রিয়াম বেইজিংয়ের দ্বিতীয় সামরিক ঘাটি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কেউ কেউ। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া।



 

Show all comments
  • Md. Mahmudul Hassan ৩১ আগস্ট, ২০২২, ৭:৩৩ পিএম says : 0
    প্রতেক দেশের নিরাপত্তার জন্য বন্ধু রাষ্ট্র মিলে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা দোষের কিছু না, তবে অন্য দেশের নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি করে নয়। পৃথিবীটা নিরাপদ করার জন্য সবার কাজ করা দরকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ