Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

গেইলকে বল করতে এসে নার্ভাস ছিলেন আফিফ

| প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : গেইলের সামনে পড়ে টেস্ট অভিষেকে প্রথম বলে ছক্কা খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে সোহাগ গাজীর। সেই গেইলকেই কি না অভিষেক শিকারে পরিণত করেছেন সোহাগ গাজী। ৪ বছর আগের সেই ঘটনা জানা আছে ক্যারিবিয়ান ড্যারেন স্যামীর। জিততে হবে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে। সে কারণেই ট্র্যাম্প কার্ড হিসেবে বল তুলে দিয়েছেন ডেব্যুটেন্ট আফিফ নামের ছেলেটির হাতে। প্রথম ২টি বল ডট, ১৭ বছরের এই পুঁচকের পরের বলে গেইল বোল্ড! টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেকে ৫ উইকেট, যার মধ্যে গেইলের উইকেট মহামূল্যবান। অথচ কি জানেন, গেইলকে বোলিং করতে এসে নাকি নার্ভাস ছিলেন আফিফ ‘গেইলের সামনে বল করতে এসে নার্ভাস ছিল। গেইলের মতো ব্যাটসম্যানের উইকেট পাওয়ার পর ভালো লাগছে।’ প্রথম দুটি ডেলিভারিতে বাউন্ডারি খেয়েও হতোদ্যম হননি, অধিনায়ক স্যামী এবং টিমমেট মেহেদী হাসান মিরাজ কাছে এসে দিয়েছেন সাহস, তাতেই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন আফিফ হোসেনÑ ‘প্রথম ২টি বলে বাউন্ডারি খাওয়ার পর পর একটু নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। ড্যারেন স্যামি এসে বলেছেন, ভয় নেই, নিজের জায়গায় পরিকল্পনামত বল করো। মিরাজ ভাই কাছে এসে বলেছেন, সামনে কে আছে, তা দেখবি না। জায়গায় বল করবি। তাদের সে নির্দেশই মেনে চলেছি।’
চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে, তা জেনেছেন ম্যাচের আগের দিন। তবে অভিষেকে ইতিহাস রচনা করবেন বোলিংয়ে, এতোটা প্রত্যাশা করেননি ‘এতটা প্রত্যাশা করিনি বলতে..আমার পরিকল্পনা ছিল পরিকল্পনামত কাজটা করব। জায়গামত কাজটা করব। এটাই পরিকল্পনা ছিল। জায়গায় বল করছি, ভালো বল হয়েছে অনেক। স্যামি ৫ উইকেট পাওয়ার পর বলছে যে, ভালো বল হয়েছে। ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্স হয়েছে।’ অভিষেকে ৫ উইকেটে রেকর্ড করেও ডান হাতি অফ স্পিনার পরিচয়ে নয়, নিজেকে মেলে ধরতে চান বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান হিসেবেÑ ‘আমার নিজের প্রত্যাশা বোলিংয়ে বেশি থাকবে না। আমি মূলত: ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং আগে তারপর বোলিং।’
বিকেএসপিতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনুশীলন ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরি করায় বিপিএলে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আফিফÑ ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ছিলাম। বিকেএসপিতে আমাদের অনুশীলন ম্যাচ ছিল। ওখানে ভালো করার পর আমাকে এখানে কল করা হয়। তারপর এখানে আসি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে আসার পর তিনদিন বিশ্রামে ছিলাম। তারপর ওখানে কল করা হয়েছে।’
অথচ কি জানেন, এই ছেলেটির বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করে, বিসিবি’র বোলিং রিভিউ কমিটির সামনে পরীক্ষা দিয়ে ইয়েস কার্ড পেয়ে বোলিংয়ের অনুমতি মিলেছে আফিফের ‘বিকেএসপি ক্যাম্পে জ্যাকি স্যার আমাদের নিয়ে কাজ করছে। এরপর মিরপুরে এসে আমাদের টেস্ট নিয়েছিল কিছু। এরপর রেজাল্ট দিয়েছে। সেখান থেকেই নিয়মিত বোলিং করতে পারছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ