Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাচ বিতর্কে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পাশে হিলারি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

নাচ বিতর্কে এবার ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের পাশে দাঁড়ালেন হিলারি ক্লিনটন। যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট থাকাকালীন একটি পার্টিতে নিজের নাচের ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ছবি শেয়ার করে সারিনের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। হিলারি ক্লিনটন যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, তা ২০১২ সালের। সেই সময় তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট। কলম্বিয়া সফরে গিয়ে একটি নাইট ক্লাবে নাচেন তিনি। সেই ছবি পোস্ট করে তিনি ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখেন, ‘নেচে যাও সানা মারিন’। হিলারি ক্লিনটনের টুইটের রিটুইটও করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। নাচ বিতর্কে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিলারিকে। সেই সঙ্গে দিয়েছেন ভালোবাসার বার্তাও। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন। আরেক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট। ২০১৬ সালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপক সমর্থনও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে তিনি হেরে যান রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। গত জুলাই মাসে হেলিসেঙ্কিতে বাসভবনে একটি পার্টিতে বন্ধুদের সঙ্গে নাচগান করতে দেখা যায় ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে সানা মারিনকে। সেই ভিডিওতে দুই মহিলার আপত্তিকর দৃশ্য ধরা পড়ে। তাদের ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত। আর তাতে ফিনল্যান্ডের চিহ্ন আঁকা। ভিডিওটি ভাইরাল হয় সোস্যাল মিডিয়ায়। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই ভাইরাল ভিডিওটিতে যাঁদের দেখা গেছে, তারাও ছিলেন দেশের সব নামী ব্যক্তিত্ব। সমাজকর্মী, ইউটিউবার থেকে শুরু করে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, অনেককেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমান উচ্ছ¡াসে মেতে উঠতে দেখা গেছে। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই সানা মারিন কিনা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে নাচে-গানে মেতে উঠেছেন! তা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। প্রধামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠে সমালোচনার ঝড়। নেটিজেনদের একাশং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই ধরনের পার্টির কড়া সমালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সানা মারিনকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন অনেকেই। এরপর চাপে পড়ে ঘটনার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। যদি এ ব্যাপারে দেশের একাংশকে পাশে পেয়েছেন সানা মারিন। প্রধানমন্ত্রী বলে কি ব্যক্তিগত জীবন, ব্যক্তিগত শখ আহ্লাদ থাকতে নেই? পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নিউজউইক।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ