Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পেশাদারিত্বের পথে এবার দাবা

| প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ক্রিকেট, ফুটবল ও হকির পর এবার পেশাদারিত্বের পথে হাঁটছে বাংলাদেশের দাবা। যার প্রাথমিক কার্যক্রম দাবা ফেডারেশন শুরু করছে দেশের পাঁচ গ্র্যান্ড মাস্টারের মধ্যে তিন জনকে মাসিক ভাতা প্রদানের মাধ্যমে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম জানান, জুনিয়র দাবাড়–দের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলবেন তিন গ্র্যান্ড মাস্টার। আর এই প্রশিক্ষণদানের জন্য ওই তিন গ্র্যান্ড মাস্টারকে বছরে ৩৬ লাখ টাকা দেবে দাবা ফেডারেশন। শুধু তাই নয়, আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা পাওয়ার জন্য দাবা ফেডারেশন চার বছরের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকে পৃষ্ঠপোষকতাও চাইবে।
দীর্ঘদিন ধরে দাবার নতুন গ্র্যান্ড মাস্টারের দেখা পাচ্ছে না ফেডারেশন। বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচজন গ্র্যান্ড মাস্টার রয়েছেন। এ সংখ্যা অনেকদিন ধরেই এক জায়গায় থেমে রয়েছে। যদিও বেশ ক’জন আন্তর্জাতিক মাস্টার, ফিদে মাস্টার ও ক্যান্ডিডেট মাস্টার রয়েছে লাল-সবুজের দাবায়। তাই এবার সেই জুনিয়রদের মানোন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন। তাদের প্রশিক্ষণদানের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে গ্র্যান্ড মাস্টার নিয়াজ মোরশেদ, জিয়াউর রহমান ও এনামুল হোসেন রাজিবকে। এ ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক মাস্টার মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ সাগর, আবু সুফিয়ান শাকিল, খন্দকার আমিনুল ইসলাম, শেখ নাসির আহমেদ ও মেহেদী হাসান পরাগকে নিয়ে মাস খানেক আগে কাজ শুরু করেছেন জিয়া। গত সপ্তাহ থেকে ১৫ জন ফিদে মাস্টার ও ক্যান্ডিডেট মাস্টারদের নিয়ে কাজ করছেন রাজিব। আর ক’দিন পরই উঠতি বয়সী দাবাড়–দের নিয়ে কাজ করবেন দেশের প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার নিয়াজ মোরশেদ। কোন বিদেশী নয় স্থানীয় গ্র্যান্ড মাস্টারদের দিয়েই উন্নত প্রশিক্ষণের এমন নজির এই প্রথম। এ জন্য এই তিন গ্র্যান্ড মাস্টারের প্রত্যেককে মাসিক এক লাখ টাকা করে বছরে ৩৬ লাখ টাকা দেবে দাবা ফেডারেশন। তিনমাস করে বছরে তিনবার এই চুক্তি নবায়ন করা হবে। তবে বাকি দুই গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার ও মোল্লা আবদুল্লাহ আল রাকিব দাবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেই বলে তাদের এ কার্যক্রমে যুক্ত করতে পারেনি ফেডারেশন। শাহাবুদ্দিন শামীম বলেন, ‘আমাদের অনেক আন্তর্জাতিক মাস্টার, ফিদে মাস্টার রয়েছে। কিন্তু তাদের মান এগুচ্ছে না। রেটিংও বাড়ছে না। তাই আমরা দাবাড়–দের মানোন্নয়নের জন্য প্রথমবার এমন উদ্যোগ নিয়েছি।’
এদিকে হকি, ব্যাডমিন্টন ও সাঁতারের পর এবার বিসিবির কাছে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা চাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দাবাও। এ প্রসঙ্গে শামীম বলেন, ‘খুব শিগগিরই আমাদের সভাপতি বেনজির আহমেদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপির সঙ্গে অর্থ পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে কথা বলবেন। আমাদের এক কোটি ৩৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। আশাকরি বিসিবি আমাদের সহযোগিতা করবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ