Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রুশদিকে হত্যার ফতোয়ার নেপথ্যে ছিলেন ব্রিটিশ ইমাম?

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৯ পিএম

বিতর্কিত সেটানিক ভার্সেস বইয়ের লেখক সালমান রুশদিকে হত্যার জন্য ৩০ বছরেরও বেশি আগে ফতোয়া জারি করেছিলেন ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনি। তবে সেই ফতোয়ার পেছনে একজন ব্রিটিশ ইমামের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

উনিশশো উননব্বই সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ফতোয়া জারির আগে ইরান বইটি নিয়ে তেমন মাথাব্যথা দেখায়নি। কিন্তু ঐ ফতোয়া জারির কয়েক ঘণ্টা আগে তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে ইরানের তৎকালীন এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সাথে কাকতালীয়ভাবে সাক্ষাৎ হয়েছিল ব্রিটিশ দুই ইমামের। কলিম সিদ্দিকী এবং গিয়াসউদ্দিন সিদ্দিকী তখন তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে ছিলেন।

ইরানে ইসলামি বিপ্লবের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সম্মেলনে যোগ দিতে এই দুই ইমাম ব্রিটেন থেকে তেহরানে গিয়েছিলেন। সেটা শেষ করে তারা সেদিন দেশে ফিরছিলেন। বিমানবন্দরের ভেতর হঠাৎ তাদের সাথে দেখা হয় ইরানের সে সময়কার প্রভাবশালী মন্ত্রী মোহাম্মদ খাতামির সাথে। তিনি কলিম সিদ্দিকীর সাথে একান্তে কিছু কথা বলতে চান। "তারা দুজন আড়ালে গিয়ে কথা বলেন," ২০০৯ সালে সেটানিক ভার্সেস অ্যাফেয়ার নামে বিবিসির এক ডকুমেন্টারিতে বলেছিলেন গিয়াসউদ্দিন সিদ্দিকী।

কথা শেষ করে কলিম গিয়াসউদ্দিনকে জানান খাতামির সাথে তার কি কথা হয়েছে, "তিনি (খাতামি) সালমান রুশদি সম্পর্কে আমার মতামত জানতে চাইছিলেন। আমি তাকে বলেছি, 'খুব কড়া কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে'" সেদিনের কথা স্মরণ করতে গিয়ে বলেন গিয়াসউদ্দিন। কলিম তাকে বলেন, ঐ মন্ত্রী ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতোল্লাহ রুহুল্লা খোমেনির সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন।

সেদিন তেহরান বিমানবন্দরে কলিম সিদ্দিকী ও খাতামির মধ্যে কথা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই সালমান রুশদিকে হত্যার ফতোয়া জারি করেন খোমেনি। ঐ ফতোয়া শুধু সেটানিক ভার্সেসের লেখকের বিরুদ্ধে ছিল না, বইয়ের প্রকাশক, সম্পাদক এবং অনুবাদকদের বিরুদ্ধেও তা কার্যকরী করতে বলে বলা হয়।

ফতোয়ার ভাষা ছিল এমন: "বিশ্বের যেখানেই তারা বসবাস করুন না কেন, আমি সব সাহসী মুসলিমের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন দেরী না করে এই লোকগুলোকে হত্যা করেন, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কোনোদিন মুসলমানদের পবিত্র বিশ্বাসকে অপমান করার সাহস না পায়।"

উনিশশো আটাশি সালের শেষ দিকে সেটানিক ভার্সেস বইটি প্রকাশিত হয়। ইসলাম প্রতিষ্ঠার সময়কার ইতিহাস নিয়ে কিছু বিতর্ক বইটির টাইটেলে প্রতিফলিত হয়। বইতে লেখা হয়েছে, নবী মুহাম্মদ কোরানের দুটো আয়াত সাহাবীদের সামনে বয়ান করে পরে তা প্রত্যাহার করেন কারণ ঐ আয়াত দুটো নাকি শয়তানের ছলনা ছিল। অনেক মুসলিম মনে করেন রুশদির উপন্যাসে ইসলাম ধর্মের প্রসঙ্গ যেভাবে তোলা হয়েছে তাতে তাদের ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে।

খোমেনির কাছ থেকে ফতোয়া জারির আগে ছয় মাস ধরে বিশ্বের বহু দেশে ঐ বইয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। ভারতসহ অনেকে দেশে বইটি নিষিদ্ধ করা হয়। বিক্ষোভের সময় পাকিস্তানে ক'জন মারা যায়। ব্রিটেনের বোল্টন এবং ব্রাডফোর্ড শহরে সেটানিক ভার্সেসের কপি পোড়ানো হয়। কিছু সে সময় ইরানের নেতাদের কাছ কিছু শোনা যায়নি। তাহলে, তেহরানের বিমানবন্দরে ঐ দুই সিদ্দিকীর সাথে ইরানি মন্ত্রীর সাক্ষাতের জেরে ধরেই কি ফতোয়া জারি হয়েছিল?

কলিম ও গিয়াউদ্দিনের মধ্যে কোনো পারিবারিক সম্পর্ক ছিলনা। ঘটনাক্রমে তাদের বংশীয় নাম এক। তাদের দুজনের জন্মই ব্রিটিশ শাসিত ভারতে, দেশভাগের আগে। দু'জনেই ব্রিটেনে এসে বসতি গাড়েন। ৮০র দশকের শেষভাগে বেশ ক'বছর ধরে এই দুই ইমাম ইরানের আয়াতোল্লাহ খোমেনির সরকারের সাথে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছিলেন।

যদিও একজন সুন্নি মুসলিম, কলিম সিদ্দিকী ১৯৭৯ সালে শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত ইরানে ইসলামি বিপ্লবের একজন কড়া সমর্থক ছিলেন। তিনি মনে করতেন, ইরানের শাহের পতনের ভেতর দিয়ে ইসলামি বিশ্বে পশ্চিমা আধিপত্যবাদের পরাজয় হয়েছে। কলিম অনেক পরে বলেন, সালমান রুশদির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারির জন্য তিনি হয়ত "আংশিক দায়ী" ছিলেন।

"আমার সাথে বিমানবন্দরে এক মন্ত্রীর দেখা হয়। ভিআইপি লাউঞ্জে বসে তিনি আমাকে সেটানিক ভার্সেস এবং রুশদি সম্পর্কে জানতে চান। আমি যা যা জানি তাকে বলেছিলাম। এরপর তিনি ইমাম খোমেনির সাথে দেখা করেন। আমার সন্দেহ এবং ধারণা সেদিন আরো পরের দিকে ঐ ফতোয়া আসে।"

"আপনি কি তার জন্য গর্বিত?" ১৯৯২ সালে বিবিসি রেডিওতে (রেডিও ফোর) এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিক লুদোভিচ কেনেডির এই প্রশ্নে কলিম উত্তর দেন, "হ্যাঁ, অবশ্যই।" ব্রিটিশ-ইরানিয়ান সাংবাদিক ইয়াসমিন আলিভাই ব্রাউন বলেন, কলিমও তাকে একই কথা বলেছিলেন। ঐ সাংবাদিক বলেন, "অনেক আয়াতোল্লাহ এমনকি বইটি পড়েনওনি।"

ধর্ম এবং ধর্মীয় কট্টরবাদ নিয়ে লেখালেখি করেন এড হোসেন। এক সময় তিনি গিয়াসউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। হোসেন মনে করেন, তেহরান বিমানবন্দরে ঐ কাকতালীয় বৈঠকটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দু'হাজার উনিশ সালে ফতোয়ার ওপর বিবিসির একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে এড হোসেন বলেন, আয়াতোল্লাহ খোমেনি প্রথম দিকে আদৌ সালমান রুশদির ব্যাপারে কোনো মাথা ঘামাননি, কারণ তার কাছে রুশদি ছিলেন "ভিন দেশে এক ভিনদেশী লেখক মাত্র।"

"একজন ব্রিটিশ ইমাম," বলেন এড হোসেন, "ইরানের কট্টর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের উসকে দিয়েছিলেন যে মুসলিমদের জন্য তাদের কিছু একটা করতে হবেই।" তিনি কি তাহলে বলতে চান যে ঐ ফতোয়ার জন্য ব্রিটেন থেকেই ইরানি নেতাদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল? - বিবিসির এই প্রশ্নে এড হোসেন উত্তর দেন - 'হ্যাঁ।'

তবে এমন কিছু ঘটনাক্রমের কথা শোনা যায় যাতে সন্দেহ হয় রুশদি ফতোয়ায় ব্রিটিশ ইমাম কলিম সিদ্দিকীর আদৌ হয়ত কোনো প্রভাব ছিলনা। আর গিয়াসউদ্দিনের পরিবার বলে, তিনি বহুদিন আগেই ঐ ফতোয়া থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। গিয়াসউদ্দিনের এক আত্মজীবনীতে লেখা হয়েছে, "এক ধরনের পুরাকথা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে কলিম ঐ ফতোয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ছিলেন। কিন্তু বিষয়টি আদৌ সত্য নয়।"

"এ ভেরি ব্রিটিশ মুসলিম অ্যাকটিভিস্ট" নামে গিয়াসউদ্দিনকে নিয়ে ঐ আত্মজীবনীমুলক বইটি লিখেছেন সি স্কট জডার্ন নামে এক লেখক। ঐ বইতে লেখা হয়েছে ইরানে ঐ দুই ব্রিটিশ ইমামের সফরের সময় বহুবারই তাদের সাথে ইরানি মন্ত্রীদের অনির্ধারিত বৈঠক হয়েছে যেখানে তারা সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতেন। স্কট জর্ডানের কথায়, ঘটনাক্রমে সে সময় সালমান রুশদির বইটি নিয়ে খুব আলোচনা চলছিল। "ইসলামি একটি দেশের নেতা হিসাবে আয়াতোল্লাহ খোমেনিকে কিছু একটা করতে হয়েছিল।"

জীবনী গ্রন্থে লেখা হয় ইরানের মন্ত্রী মোহাম্মদ খাতামি - যিনি পরে ইরানের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন - কলিমের মতামত জানতে চেয়েছিলেন, কিন্তু এটা জানা যায়নি যে তার ঐ মতামত খোমেনির কাছে পৌঁছেছিল বা ঐ ফতোয়া জারির পেছনে ঐ মতামতের আদৌ কোনো ভূমিকা ছিল কিনা। ঐ আত্মজীবনীতে লেখা হয়, "ঐ ফতোয়া ইরানের ইসলামি চিন্তাবিদদের মধ্যে আলোচনা-বিতর্কের পর গৃহীত হয়েছিল। আর সেটি জারির কয়েক ঘণ্টা আগে বিদেশি একজন উৎসাহদাতা তাতে বিশাল ভূমিকা রেখেছিলেন - এমনটি ভাবা খুবই বোকামি।"

কলিম ১৯৯৬ সালে মারা যান। নিউইয়র্কে কিছুদিন আগে সালমান রুশদির ওপর হামলার পর কলিমের ছেলে ইকবাল বলেন, এটি নেহাতই একটি কাকতালীয় ঘটনা ছিল যে ঐ ফতোয়া জারির সময় তার বাবা ইরানে ছিলেন। ইকবাল বলেন, ইরানের মন্ত্রী যখন সেটানিক ভার্সেস এবং সালমান রুশদির "ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে চান তখনই বাবা ঐ ফতোয়া সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন।" "ফতোয়ার সাথে কোনো সম্পৃক্ততা বা তার জন্য কোনো দায়ভাগ কখনই আমার বাবা বোধ করেননি।"

তবে একইসাথে ইকবাল বলেন, ঐ ফতোয়া সমর্থন করা নিয়ে তার বাবা কখনো আফসোস করেননি। সেটানিক ভার্সেসের বিরোধিতাকারী ব্রিটিশ মুসলিমরা দুটো শিবিরে বিভক্ত ছিল। কিছু মুসলিম দাবি তোলেন, ব্রিটেনে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা বিরোধী আইনের আওতা বাড়িয়ে সেখানে খৃষ্টধর্মের সাথে ইসলামকে যোগ করতে হবে। কিন্তু তাদের সেই দাবি ধোপে টেকেনি। বরঞ্চ ২০০৮ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ব্লাসফেমি আইনটিই রদ করে দেয়া হয়।

করিম বা গিয়াস সিদ্দিকীদের মত আরেক দল মুসলিম বলতে শুরু করেন ব্রিটিশ সরকার বা ব্রিটেনের মূলধারার সমাজ তাদের কথা শুনছে না তাই তারাই এখন ইসলাম এবং মুসলিমদের প্রতিনিধি হিসাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা ইসলাম ও মুসলিমদের স্বঘোষিত প্রতিনিধি হয়ে যান বা তার চেষ্টা করেন। কলিম ছিলেন এই মতবাদের অনুসারী মুসলিমদের একজন নেতা। তিনি এবং তার সমর্থকরা ১৯৮৯ সালে ম্যানচেস্টারে কয়েকশ মুসলিমের এক সভায় হাজির হয়ে হৈচৈ করে তার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন যা নিয়ে তখন অনেক কথা হয়।

ঐ ঘটনার আগের দিনই বিবিসির এক জনমত জরিপে বলা হয়, ব্রিটিশ মুসলিমদের মাত্র ৩৫ শতাংশ সালমান রুশদির ওপর দেয়া ফতোয়া সমর্থন করে। ম্যানচেস্টারে ঐ সমাবেশে দাঁড়িয়ে কলিম প্রশ্ন করেন, তারা ফতোয়া সমর্থন করেন কি করেন না? পরে কলিম লেখেন, "সভায় উপস্থিত প্রায় সবাই হাত তুলেছিলেন। আমি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলাম এই বিষয়ে ব্রিটিশ মুসলিম সমাজে একশভাগ ঐক্যমত্য রয়েছে।" কলিমের কথা ছিল, ইসলামি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোই হবে ব্রিটিশ মুসলিমদের আসল প্রতিনিধি।

সেই চিন্তাধারা থেকেই তিনি ১৯৯২ সালে মুসলিম পার্লামেন্ট নামে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন। বলা হয় এই ফোরামে ইসলাম ও মুসলিম বিষয়ে আলোচনা বিতর্ক হবে। তবে ১৯৯৭ সালে তার মৃত্যুর পর ঐ ফোরাম অকার্যকর হয়ে যায়। মুসলিম পার্লামেন্টের ডেপুটি নেতা জাহাঙ্গীর মহম্মদ পরে বলেছিলেন, ফতোয়া ইস্যুতে কলিম যে জনপ্রিয়তা পান তার সূত্রেই তিনি ঐ ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু ইয়াসমিন আলিভাই ব্রাউনের মতে, কলিম সুযোগ বুঝে নেতা হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সাধারণ মুসলিমদের কোনোভাবেই তিনি প্রতিনিধিত্ব করতেন না।

তিনি বলেন., "মুসলিম পার্লামেন্ট ছিল হাস্যকর একটি বিষয়। কোনো অর্থে এটি পার্লামেন্ট? এটি ছিল এমন এক পার্লামেন্ট যেখানে কখনো ভোট হয়নি।" গিয়াসউদ্দিন সিদ্দিকী এখনো বেঁচে আছেন, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা মিডিয়ার সাথে কথা বলার মত নয়। কলিম সিদ্দিকীর ছেলে ইকবালের মত তার ছেলে আসিমও বলেন, তেহরানে ইরানি মন্ত্রীর সাথে ঐ সাক্ষাৎ ছিল কাকতালীয় এবং কোনো প্রমাণ নেই যে সালমান রুশদিকে নিয়ে তার মতামত খোমেনির সামনে তুলে ধরা হয়েছিল।

আসিম বলেন, তার বাবা বেশ কয়েক দশক আগেই ঐ ফতোয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে আনেন। ইয়াসমিন আলিভাই ব্রাউনও বলেন, "গিয়াসউদ্দিন তার অবস্থান পরিবর্তন করেছিলেন, এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বড়রকম প্রবক্তা হয়ে দাঁড়ান তিনি। তার এই পরিবর্তন ছিল সত্যিই অবাক করার মত।" সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ