নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হয়ে গেছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে ক্ষুদ্র ফরমেটেই হচ্ছে এবারের আসর। মরুর দেশের সেই উত্তাপ এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। এবার বুঁদ হবার পালা ক্রিকেটপাগল বাংলাদেশীদের। দুবাইয়ে এরই মধ্যে বেশ কিছুদিন প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এবার মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষা। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় তাদের সামনে আফগানিস্তান। যারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে আসরের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে গুড়িয়ে দিয়েছে। পরীক্ষাটা ভালোই হবে সাকিবের নেতৃত্বে নতুন এক বাংলাদশের।
১৯৮৪ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের ১৫টি আসরের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে ১৩বার। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে অংশগ্রহন করে ১৯৮৬ সালে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বে। সেবার পাকিস্তানের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো না থাকায় আসর থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় ভারত। সেই আসরে অংশগ্রহন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। প্রথমবার অংশ্রগ্রহন করে বাংলাদেশ দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই পরাজিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজক হয় বাংলাদেশ। ভারতের প্রত্যাবর্তনের এই সিরিজে তিনটি ম্যাচে অংশগ্রহন করে শতভাগ ম্যাচে পরাজিত হয় সেবারও লিপুর নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ান হয় ভারত। তবে আয়োজক হিসেবে ক্রিকেট বিশে^ ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে বাংলাদেশ।
পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়, নানা বিতর্কেও ওই টুর্নামেন্টে এশিযার বাইওে থেকে অংশগ্রহন করে অষ্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যার কারনে আসরটির নাম হয়ে যায় অস্ট্রাল-এশিয়া কাপ। পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সেই সিরিজেও বাংলাদেশ ছিল জয়হীন। সে বছরই শেষের দিকে পুনরায় আয়োজন হয় এশিয়া কাপ আয়োজক দল ছিল ভারত, রাজনৈতিক কারনে সেই আসরে অংশগ্রহন করেনি পাকিস্তান। সেবার বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, সেখানেও কোন ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ এবং চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালের এশিয়া কাপেও অধিনায়ক পরিবর্তন হলেও ফলাফল পরিবর্তন করতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়া আসরে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ক্যাপ্টেন ছিলেন আকরাম খান। ১৯৯৭ আয়োজক ও চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা তবে সে আসরেও বাংলাদেশ থাকে জয়হীন।
২০০০ সালে আবারোও বাংলাদেশ আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে আয়োজক হিসেবে অংশগ্রহন করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সেই আসরেও একটি জয়ের দেখা পায়নি স্বাগতিক বাংলাদেশ। ২০০৪ সালে এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো আসরে অংশগ্রহন করা হংকংএর সাথে আসরের প্রথম ম্যাচেই ১১৬ সালের জয় তুলে নেয় হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে থাকা লাল-সবুজের দল। যদিও এই একটি জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় সে আসরে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ সেখানে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বে পাঁচটি ম্যাচে অংশগ্রহন করে বাংলাদেশ, যেখানে একটি ম্যাচে জয়ের স্বাদ পায় টইগাররা। ২০১০ সালে এশিয়া কাপে জয়হীন বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন সাকিব আল হাসান।
২০১২ সালের এশিয়া কাপ বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় একটি আসর। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে সেই আসরে নিজ দেশের মাটিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ রানের আক্ষেপের হার নিয়ে আসর শেষ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কোটি সমর্থক আজও সেই ম্যাচটি ভুলতে পারেনি। ২০১৪ সালে টানা দ্বিতীয়বার আয়োজক হয় বাংলাদেশ যদিও সেই আসরে একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
এবারের আগে প্রথমবারের মতো ২০১৬ সালের এশিয়া কাপ হয় টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে, পুনরায় স্বাগতিক হওয়া মাশরাফির নেতৃত্বাধীন সেই আসরে আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ, যদিও ভারতের কাছে আট উইকেটে হেরে যায় মাশরাফিবাহিনী। ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে অনুষ্ঠিত সেই ফাইনালের চিত্র এখনো দেশের মানুষ ভুলতে পারেনি, লিটন দাসের সেঞ্চুরির সেই ফাইনালে আবারও শেষটা ছিল ব্যর্থতার মাধ্যমে। ভারতের কাছে তিন উইকেটে পরাজিত হতে হয় টাইগারদের।
এবার এশিয়া কাপ মিশনটিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ‘শিক্ষা সফর’ হিসেবে নিয়েছে সাকিব-মুশফিকরা। তবে যাবার আগে তেমন কোনো আশার বাণী না শোনালেও টোচ জর্জর নতুন বাংলাদেশের জন্য রইল শুভকামনা।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ
অংশগ্রহণ ১৩ বার
ম্যাচ ৪৮
জয় ১০
হার ৩৮
সেরা সাফল্য
রানার্সআপ (২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।