নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২৯ আগস্ট দিনটি অলক কাপালির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গর্বের দিনগুলির একটি। বাংলাদেশ ক্রিকেটেরও গর্বের দিন। ২০০৩ সালের এই দিনে দেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্ট হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। ১৯ বছর পর এই দিনেই আনুষ্ঠানিকভাবে থেমে গেল সাদা পোশাকে তার পথচলা। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার জানিয়ে দিলেন, আর খেলবেন না প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। নিজের ফেইসবুক পাতায় গতকাল অবসরের এই ঘোষণা দেন ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তবে রঙিন পোশাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি খেলে যাবেন বলে জানান।
বাংলাদেশের হয়ে ১৭ টেস্টের সবশেষটি খেলেছেন তিনি সেই ২০০৬ সালে। টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক তাই অনেক আগে থেকেই চুকে গিয়েছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ায় টেস্ট ক্যারিয়ারের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তিও ঘটল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রায় ২২ বছরের পথচলায় ১৭২ ম্যাচ খেলেছেন অলক। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন কেবল তুষার ইমরান (১৮২) ও মোহাম্মদ আশরাফুল (১৭৪)। ৩৩.৮৪ গড়ে অলকের রান ৯ হাজার ১৩৮। এই সংস্করণে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রানের তালিকায়ও তিনি তৃতীয়। ১১ হাজার ৯৭২ রান নিয়ে সবার ওপরে তুষার, এরপর নাঈম ইসলামের রান ৯ হাজার ৪৫০। সেঞ্চুরি আছে তার ২০টি, ফিফটি ৩৭টি।
সঙ্গে লেগ স্পিনে ২১৭ উইকেট। সেরা বোলিং ৩৩ রানে ৭ উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৭ বার, ম্যাচে ১০ উইকেট একবার। ক্যারিয়ারের একটা উল্লেখযোগ্য সময় তিনি ছিলেন দেশের সেরা ফিল্ডারদের একজন। ক্যাচ নিয়েছেন তিনি এই সংস্করণে ১৪৪টি। ২০০০ সালে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠে সিলেট বিভাগের হয়ে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পা রাখেন অলক। ১৭২ ম্যাচের ১১৪টিই তিনি খেলেছেন সিলেট বিভাগের হয়ে। গত নভেম্বরে জাতীয় লিগে সিলেটের হয়ে রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচটিই হয়ে রইল তার শেষ।
অনেক সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হলেও তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার পূর্ণতা পায়নি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি কিংবদন্তি। সিলেট বিভাগের জন্য মহানায়ক। তবে গত চার মৌসুম তার খুব ভালো কাটেনি। এই সময়ে ১৭ ম্যাচ খেলে ফিফটি করতে পারেন স্রেফ একটি। সবশেষ দুই মৌসুমে ম্যাচ খেলার সুযোগই পেয়েছেন মোটে ৫টি। বিদায়ের কারণ হিসেব অলক বললেন নতুন প্রজন্মকে সুযোগ আর নিজের পরিবারকে সময় দেওয়ার কথা, ‘বাংলাদেশ ও বৃহত্তর সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনের অংশ হতে পারায় আমি গর্বিত। আমি মনে করি এখন তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য আরও বেশি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। তরুণ ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসার জন্য এবং পরিবারকে বেশি সময় দেওয়ার লক্ষ্যে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০২২-২৩ মৌসুম থেকে শুধুমাত্র লিমিটেড ওভারস ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করব। আমি বৃহত্তর সিলেটের ক্রিকেটের সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি। সিলেটের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য যে কোনো সহায়তার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।