Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘অসন্তোষজনক’ অগ্রগতির কারণ দেখিয়ে সাফুরা জারগারের থিসিস বাতিল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১০:১৩ পিএম

‘অসন্তোষজনক’ অগ্রগতির অজুহাত দেখিয়ে সফুরা জারগারের থিসিস বাতিল করে দিয়েছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া। তিনি এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে নথিভুক্ত হয়েছিলেন। ২৬ আগস্ট দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তিনি সর্বোচ্চ পাঁচটি সেমিস্টারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার এমফিল গবেষণাপত্র জমা দেননি। অনুষদটি গত ২২ আগস্ট সাফুরা জারগারের ভর্তি বাতিল করে।

ডিনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ৫ জুলাই গবেষণা উপদেষ্টা কমিটির (আরএসি) দেওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ২২ আগস্ট বিভাগের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা বিভাগের বোর্ড অফ স্টাডিজ-এ অনুমোদিত হয়। ডিন অফিস জানায়, আরএসি-এর ৫ জুলাইয়ে সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বোর্ড অফ স্টাডিজ সুপারভাইজারের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২২ আগস্ট বাতিলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

অধ্যাপক কুলবিন্দর কৌরের তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাফুরা জারগার। প্রশাসন দাবি করেছে, তার তত্ত্বাবধায়ক অগ্রগতি প্রতিবেদনে তার কর্মক্ষমতা ‘অসন্তোষজনক’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন যে, তিনি নির্ধারিত সর্বোচ্চ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেননি। কোভিড এক্সটেনশনের অতিরিক্ত সেমিস্টার (ষষ্ঠ সেমিস্টার) পাঁচ সেমিস্টারের সর্বোচ্চ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার এম.ফিল গবেষণাপত্র জমা দেননি। জারগার ইতোমধ্যে তার ভর্তি বাতিল কত দ্রুত অনুমোদিত হয়েছে তা জানাতে টুইটারে ক্ষোভবার্তা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘সাধারণত শম্ভুক-গতির জামিয়া প্রশাসক আমার ভর্তি বাতিল করার জন্য সমস্ত যথাযথ প্রক্রিয়াকে অগ্রাহ্য করে হালকা গতিতে চলে যায়। এটা আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে, কিন্তু আমার স্পৃহাকে নয়’। এই থিসিস কাজের জের ধরে জারগার এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) কিছু ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সহিংসতার মামলা হয় এবং তাদেরকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।

গত সপ্তাহে তিনি টুইট করে জানান, ‘এমফিল থিসিস জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর জন্য তার আবেদন আট মাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়। তিনি পিটিআইকে জানান যে, প্রশাসন তার আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না। বুধবার, তিনি জামিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর নাজমা আখতারকে লিখেছেন, প্রশাসনের হাতে তাকে অযথা হয়রানি ও উপহাসের শিকার করা হচ্ছে। ইউজিসি পরপর পাঁচটি কোভিড এক্সটেনশন মঞ্জুর করলেও আমাকে শুধুমাত্র একটি দেয়া হয়েছে। আমাকে মহিলা স্কলার শ্রেণীর অধীনে একটি এক্সটেনশনের জন্য আবেদন করতে বাধ্য করা হয়েছে, শুধুমাত্র ‘অসন্তোষজনক অগ্রগতি’ উল্লেখ করে কয়েক মাস পরে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্ধারিত নির্দেশিকাগুলোর স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং খারাপ উদ্দেশ্যের দিকে ইঙ্গিত করে। আমি আমার সম্ভাব্য সব প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব’। সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ