গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর গুলশান থানা-পুলিশের হেফাজত থেকে চুরির মামলার আসামি পালিয়ে গেছেন। তাঁর নাম খাদিজা আক্তার। গত শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি থানা থেকে পালিয়ে যান। ঘটনার এক দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল রোববার ওই আসামিকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।
গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া ওই আসামিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। খাদিজা আক্তার নামের ওই নারীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনে ২৩ আগস্ট থানায় মামলা করেন আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি। খাদিজা যখন থানা থেকে পালিয়ে যান, তখন তিনি সেখানেই ছিলেন বলে জানান আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা-পুলিশ। অভিযানে পুলিশের সঙ্গে তিনিও ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে চুরি হওয়া একটি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার হয়। পরদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলেন খাদিজা। তখন থানা ভবনের বাইরের একটি টয়লেটে তাঁকে নিয়ে যান একজন নারী পুলিশ সদস্য। ওই টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে পালিয়ে যান খাদিজা।
এজাহারে মামলার বাদী আলমগীর হোসেন উল্লেখ করেন, তিনি গুলশান-২ এলাকার হুমায়ুন কবির সুজন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। ওই বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করছিলেন খাদিজা আক্তার। অসুস্থতার কথা বলে ১৭ আগস্ট তিনি চলে যান। ওই দিনই বাসার আলমারির ড্রয়ার খুলে দেখেন, সেখানে থাকা ৪ ভরি ৪ আনার স্বর্ণালংকার নেই। আরেকটি ড্রয়ারে থাকা এক লাখ ৭৫ হাজার টাকারও কোনো হদিস নেই।
এ ঘটনার পরে বাসার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, ১৬ আগস্ট বেলা ৩টা ১২ মিনিট থেকে ৩টা ১৪ মিনিটের মধ্যে ড্রয়ার খুলে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরি করেন খাদিজা আক্তার। ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।