মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চাকরি করতে গেলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিয়ম মেনে চলতে হয়। কিন্তু সেই নিয়ম মানতে গিয়ে যদি পকেট ফাঁকা হয় তাহলে আর কিছুই বলার থাকে না। তেমনই অভিযোগ এনেছেন এক সংস্থার কর্মচারী।
কর্মচারীর দাবি, সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী প্রতি তিন মাস পর পর তাকে কিনতে হয় নতুন ‘ইউনিফর্ম’। এর জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। যেখান চাকরি করে রোজগার হচ্ছে সেই সংস্থার জন্যই যদি অর্ধেক টাকা চলে যায় তাহলে তো মাথায় হাত পড়বেই।
আসলে এমনই নিয়ম রয়েছে এক নামকরা পোশাক বিপণীতে। নিত্য নতুন ডিজাইনের সম্ভার এলেই তা কেনার কথা বলা হয় দোকানের কর্মচারীদেরই। সেগুলোকেই ব্যবহার করতে হয় নতুন ইউনিফর্ম হিসেবে। তাতেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন দোকানের এই মহিলা কর্মী। তার দাবি, কর্তৃপক্ষ চান দোকানের কর্মীদেরই যেন মডেলের মতো দেখতে লাগে। তাই নিত্য নতুন পোশাক কেনার এমন নিয়ম।
মহিলার দাবি, প্রয়োজন না থাকলেও কিনতে হয় নতুন পোশাক। তাও আবার নিজের পছন্দের যা খুশি পোশাক নয়। সংস্থার নির্দিষ্ট করে দেওয়া পোশাকেই সাজতে হবে তাকে। তিনি আরও বলেছেন, ওই ফ্যাশন শোরুমে জামাকাপড়ের দাম যথেষ্ট বেশি। তবু বাধ্য হয়েই কিনতে হয় পোশাক।
আক্ষেপের সুরে মহিলা জানিয়েছেন, তার বাড়িতে যথেষ্ট আর্থিক সমস্যা রয়েছে। পরিবার টানতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। তাই এই জামাকাপড় কিনতে বাধ্য করা সত্যিই অনৈতিক। যে সংস্থা তাকে মাসের শেষে বেতন দিচ্ছে তাদেরই জিনিস কিনে বিজ্ঞাপন করতে হচ্ছে তাকে।
অবস্থা এমন মালিকের ঘরেই বেতনের বড় অংশ দিতে হচ্ছে। নিজের এমন দুঃখের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় নেটিজেনরাও সহানুভূতি জানিয়েছেন তাকে। অনেকেই সেই সংস্থাকে দোষারোপ করেছেন এমন অদ্ভুত নিয়ম বানানোর জন্য। সব মিলিয়ে নেটদুনিয়াতেও বেশ তোলপাড় ফেলে দিয়েছে এমন অদ্ভুত নিয়ম। সূত্র : ফ্লিপবোর্ড, টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।