Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

একটি শ্রেণী সিনেমার সমালোচনা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রযোজকদের নিরুৎসাহী করছে

রিয়েল তন্ময় | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২২, ১১:৫৭ পিএম

এফডিসিতে এখন সিনেমা নির্মানের দৃশ্য খুব একটা দেখা যায় না। এর পরিবর্তে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনের আভ্যন্তরীন কোন্দল, নায়ক-নায়িকা ও প্রযোজকদের মধ্যে পারস্পরিক কাদা ছোড়াছোড়ি করতে বেশি দেখা যায়। সম্প্রতি একটি সিনেমার নায়ক-নায়িকা, পরিচালক ও প্রযোজক একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলে এবং পরস্পরকে অশালীন ভাষায় দোষারোপ করে। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে সমস্যার সুরাহা করলেও এক ধরনের শীতলযুদ্ধ থেকে যায়। এর আগে গত ঈদে অনন্ত জলিলের সিনেমা দিন দ্য ডে মুক্তি পাওয়ার পর এর বাজেট নিয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পীসহ অনেকে সমালোচনায় মেতে উঠেন। তারা প্রকারন্তরে সিনেমাটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। চলচ্চিত্রের চরম মন্দাবস্থায় যখন কেউ কেউ সাহস করে সিনেমা মুক্তি দিচ্ছে, তখনই চলচ্চিত্রের একটি শ্রেণী নানা নেতিবাচক মন্তব্য করে তা নিরুৎসাহ করার পায়তারায় নামে। এটা চলচ্চিত্রের জন্য যে ক্ষতিকর তা বিবেচনায় নিচ্ছে না। কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে সিনেমার সমালোচনা করছে। সম্প্রতি ‘হাওয়া’ নামে একটি সিনেমায় পাখির দৃশ্য ব্যবহারকে কেন্দ্র করে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মামলা করে দেয়। এর প্রতিবাদস্বরূপ চলচ্চিত্রাঙ্গণের প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পীবৃন্দ চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড বাতিলের দাবী তোলে। চলচ্চিত্রের এমন মন্দাবস্থার মধ্যে সিনেমা মুক্তি নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা ভালো লক্ষণ নয় বলে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তারা মনে করছেন, চলচ্চিত্র যখন অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি তখন সিনেমা মুক্তি পেলেও সেগুলোকে উৎসাহ দেয়ার পরিবর্তে একটি শ্রেণী নানা সমালোচনায় মেতে উঠে। এতে উক্ত প্রযোজক পরবর্তীতে নতুন সিনেমা প্রযোজনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এভাবে প্রযোজকদের চলচ্চিত্রে অর্থলগ্নি করা থেকে বিদায় করে দেয়ার প্রক্রিয়া খুবই দুঃখজনক। এই সময়ে যখন একের পর এক সিনেমা মুক্তি দিয়ে সিনেমা বাজার চাঙা করা প্রয়োজন, সেখানে এমন নেতিবাচক প্রচারণা ও প্রযোজককে নিরুৎসাহী করে তোলা আত্মঘাতী ছাড়া কিছু নয়। তারা মনে করছেন, একজন প্রযোজক ও পরিচালক অনেক কষ্ট করে একটি সিনেমা নির্মাণ করেন। সিনেমাটি ভালো না মন্দ তা দর্শক বিচার করবে। অথচ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাই সিনেমাটির সমালোচনায় মেতে উঠেন। এ অবস্থা হলে, দর্শক সেই সিনেমা দেখবে কেন? তারা সিনেমার প্রশংসা না করুক, অন্তত চুপ থাকতে পারে। প্রকাশ্যে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে সিনেমার সমালোচনা করা যে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা এ জ্ঞানটুকু তাদের নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একটি শ্রেণী সিনেমার সমালোচনা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রযোজকদের নিরুৎসাহী করছে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ