গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি’র বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শনিবার রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় বলা হয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ২৬ আগস্ট শাহবাগে এক ছাত্র সমাবেশে দেশের চলতি রাজনৈতিক অসঙ্গতি নিয়ে অভিভাবকসুলভ বক্তব্য রাখেন। তারই এক পর্যায়ে তিনি বলেন ‘ক্লাস ওয়ান থেকে এমএ ক্লাস পর্যন্ত কোথাও দ্বীনি শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা রাখা হয় নাই।’
শিক্ষামন্ত্রী সম্ভবত এই অংশকে ভিত্তি করে এক সংবাদ সম্মেলনে অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করেন। এক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হলো, আমীর যথার্যথই বলেছেন। দ্বীনি শিক্ষা বলতে যা বোঝায় তা বাংলাদেশের শিক্ষাক্রমে আদতে নেই। দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা নামে যে পাঠ্য বই রাখা হয়েছে, তাতে ইসলামের মৌলিক চেতনা, শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় মাসআলা নেই। ইসলামী জ্ঞান মৌলিকভাবে ৫ ভাগে বিন্যস্ত। আকাইদ, ইবাদাহ, মুআমালাত, মুয়াশারাত ও আখলাক। এগুলো সম্পর্কে মৌলিক ধারণা না দিয়ে ভাসাভাসা আলোচনা করা হয়েছে।
পাঠ্য বইয়ে ইসলামকে পশ্চিমা খ্রিস্টীয় ধর্মের আদলে প্রয়োগহীন নীতি-ধর্ম আকারে শিক্ষার্থীদের সামনে হাজির করা হয়েছে। এই শিক্ষাকে কোনভাবেই ইসলামী শিক্ষা বলা যায় না।
পীর সাহেব চরমোনাই এই বিষয়টি সামনে আনতেই ‘কোথাও দ্বীনি শিক্ষা নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন। পীর সাহেব চরমোনাই এর বক্তব্যের যথার্থতা প্রমানে এটাও একটি দিক যে, ইসলাম শিক্ষাকে ‘ধর্ম ও নৈতিকতা’ শিক্ষার বর্গে ফেলা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী পীর সাহেব চরমোনাই’র কথা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, শিক্ষামন্ত্রী বারংবার ধর্মীয় শিক্ষা ছিলো, আছে ও থাকবে বললেও কার্যত ইসলাম শিক্ষাকে খন্ডিত উপস্থাপন করার প্রবণতা চলমান থাকায় জনমনে ইসলাম শিক্ষা নিয়ে ধোকাবাজি হচ্ছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী সেই ধোয়াশা দূর না করে দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন শীর্ষ নেতার বক্তব্যকে মিথ্যা বলে অ্যাখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন।
আমরা আশা করি তিনি ক্ষমা চেয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন এবং পাঠ্যসূচিতে ইসলামী শিক্ষার ধরণ ও অবস্থান নির্ধারণে উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে কমিটি করে ইসলাম শিক্ষাকে যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বসহ পুন:স্থাপন করার কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
অন্যথায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জনগণকে সাথে নিয়ে দেশ-জাতি-মানবতা ও ইসলাম রক্ষায় যা যা করণীয় তা করবে ইনশাআল্লাহ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার এক সভায় শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়। দলের নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়ধ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলান খলিলুর রহমান, আলহাজ আব্দুর রহমান
জাতীয় সীরাত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদশের মহাসচবি হাফজে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলছেনে, রাসূল সা. এর অনুপম আর্দশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধশালী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শনিবার সন্ধায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় সীরাত সম্মেলন ও সীরাতুন্নবী সা. মাহফিল উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।